অবসান ঘটল সব জল্পনা-কল্পনার। নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত তাকে অধিনায়ক করা হয়েছে।
অনেকটা অনুমেয় ছিল বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে ফিরছেন সাকিব আল হাসান। তবে বেটউইনার ইস্যুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয় তার। পরে চুক্তি বাতিল করে বিসিবিতে চিঠি দেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ফলে মন গলেছে বোর্ডের। আজ শনিবার (১৩ আগস্ট) অধিনায়কত্বের ইস্যুতে নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় বৈঠকে বসেন সাকিব।
এই বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনসের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, সাকিবের কাঁধেই উঠছে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটের দায়িত্ব। তবে পূর্ণ মেয়াদে নয়, আসন্ন এশিয়া কাপ, নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং বিশ্বকাপের জন্য অধিনায়ক করা হয়েছে সাকিবকে। গত ১১ আগস্ট ধানমন্ডিতে করা এক সংবাদ সম্মেলনে পাপন জানান, এবার অধিনায়ক বেছে নেওয়া হবে পূর্ণ মেয়াদে, অন্তত ২ বছরের জন্য।
সাকিবের সঙ্গে পাপনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুই পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন ও জালাল ইউনুস। সঙ্গে ছিলেন দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমন। বিকেল ৪টার পর শুরু হয় এই বৈঠক।
বাংলাদেশের হয়ে এখনো পর্যন্ত ৯ জন ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যাদের মাঝে ৫ জন পেয়েছিলেন স্থায়ী অধিনায়কত্ব। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন শাহরিয়ার নাফিস। ওই একটি ম্যাচেই নেতৃত্ব দেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতিয়েছেন দলকে। এর বাইরে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৪৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জেতান ১৬ ম্যাচে। অফ ফর্মের কারণে নেতৃত্বটা হারালেন তিনি। মাশরাফি বিন মুর্তজা ২৮ ম্যাচে জয় এনে দেন ১০টিতে। মুশফিকুর রহিম ২৩ ম্যাচে ৮, সাকিব আল হাসান ২১ ম্যাচে ৭ ও মোহাম্মদ আশরাফুল ১১ ম্যাচে ২ জয়ের দেখা পান।
একটি করে ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন লিটন দাস ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দুজনের নেতৃত্বেই হেরেছে দল। নুরুল হাসান সোহান দুই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে জিতিয়েছে একটিতে।
এর আগে ২০০৯ সাল ও ২০১৭ সালে এই ফরম্যাটে অধিনায়ক হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তার অধীনে ২১ ম্যাচে ৭টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। যদিও সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থওতার পাল্লা ভারী। ২১ ম্যাচের ১৪টিতেই হারের মুখ দেখতে হয়েছিল সাকিবকে। এবার দেখার বিষয় তৃতীয় মেয়াদে সাফল্যের পাল্লা আরও কতখানি বাড়াতে পারেন তিনি।