রাজধানীর পান্থপথের আবাসিক হোটেল থেকে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের মামলায় তার স্বামী মো. রেজাউল করিম আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) রেজাউলকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থাকার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু জাফর মোহাম্মদ মাহফুজুল কবির। আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম রেজাউলের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এর পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাতে রেজাউলকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দ করা হয় আসামির রক্তমাখা গেঞ্জি, মোবাইল ফোন ও ব্যাগ।
পুলিশ জানায়, ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকের সঙ্গে রেজাউলের পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২০ সালে অক্টোবরে তারা বিয়ে করেন। পরিবারের অগোচরে বিয়ে করায় তারা স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অবস্থান করেন। রেজাউলের সঙ্গে একাধিক নারীর সম্পর্ক ছিল। এ বিষয়টি জান্নাতুল জানতে পারলে বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরকিয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে জান্নাতুলকে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করে রেজাউল। গত ১০ আগস্ট জান্নাতুলকে তার জন্মদিন উদযাপনের কথা বলে পান্থপথের ‘ফ্যামিলি অ্যাপার্টমেন্ট’ নামে একটি আবাসিক হোটেল নিয়ে যায় সে। অ্যাপার্টমেন্টে অবস্থানকালে রেজাউলের সঙ্গে বিভিন্ন নারীর সম্পর্ক নিয়ে জান্নাতুলের কথাকাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় রেজা তার ব্যাগ থেকে ধারালো ছুরি বের করে জান্নাতুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। পরে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে। হত্যার পর চট্টগ্রামে পালিয়ে যায় রেজাউল।