নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলে প্রতিবন্ধীর মৃত্যু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের রাবার বুলেট নিক্ষেপ ১২জনকে আটক। নড়াইলে প্রতিবন্ধী জুয়েল ভূঁইয়া (১৮) কে মাথায় হাতুড়িপেটার ৩দিন পর খুলনা ৫শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মারা যায়। সেই ঘটনার রেশ ধরে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসি প্রতিপক্ষের ১০-১২টি বাড়ি ভাংচুর করেছে।
এসময় নড়াইল থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
ঘর-বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় পুলিশ ১২জনকে আটক করেছে। জুয়েল ভূঁইয়া সদরের বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কর্মচন্দ্রপুর গ্রামের পান্নু ভূঁইয়ার পূত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কর্মচন্দ্রপুর গ্রামে সিকদার ও ভূঁইয়া বংশের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
শারীরিক প্রতিবন্ধী জুয়েল বাড়ির পাশের মাদ্রাসা বাজারে একটি দোকানের কর্মচারি হিসেবে কাজ করতো।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকাল ৯টায় ভ্যানযোগে দোকানে আসার পথে বেদভিটা নামক স্থানে পৌছালে কর্মচন্দ্রপুর গ্রামের ইয়াসিন, ফিরোজ,হাফজসহ ৬জন তাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায়সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। ঘটনা উল্লেখে জুয়েলের চাচা মান্নান ভূঁইয়া বাদি হয়ে মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রাতে সদর থানায় মামলা করেন।
ঘটনার সাথে জড়িত মোট ৫ আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঘটনার পর জুয়েলের আর জ্ঞান ফেরেনি। খুলনা ৫শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় তার মুত্যু হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সদর থানার ওসি (চলতি দায়িত্বে) মোঃ মাহমুদুর রহমান রবিবার (১৪ আগস্ট) জনান, প্রতিবন্ধী জুয়েল ভূঁইয়ার মৃত্যুর পর এলাকার কিছু বিক্ষুদ্ধ ব্যাক্তি ৫-৬টি ঘর-বাড়ি ভাঙচুর করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ ৬ রাউন্ড ফাঁকা রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।