পাকিস্তানের পাঞ্জাবে একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কারের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) ভোরে মুলতান-সুক্কুর মোটরওয়েতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মুলতানের জেলা প্রশাসক তাহির ওয়াট্টু এক বিবৃতিতে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, লাহোর থেকে করাচিগামী যাত্রীবাহী বাসটি মোটরওয়ের জালালপুর পীরওয়ালা ক্রসিংয়ে পেছন দিক থেকে তেলের ট্যাঙ্কারকে ধাক্কা দেয়। সংঘর্ষের পর আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘটনাস্থলেই ২০ জন মারা যায়।
পরে মুলতানের কমিশনার আমির খট্টকও এক টুইট বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভোর ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
কমিশনারের শেয়ার করা দুর্ঘটনাস্থলের ছবিগুলোতে বাস এবং তেলের ট্যাঙ্কারের পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে।
এদিকে, মোটরওয়ে পুলিশের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ডননিউজটিভি জানায়, ট্যাঙ্কারটি কয়েক হাজার লিটার পেট্রোল বহন করছিল।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার আপাত কারণ বাসচালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বলে মনে হচ্ছে।
মুলতানের নিশতার হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডা. আমজাদ চান্দিও ডন ডটকমকে বলেন, আহতদের মধ্যে চারজনকে প্রাথমিকভাবে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে এবং হাসপাতালের মর্গে ২০টি মৃতদেহ রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পরে ডিসি ওয়াট্টু আরেকটি বিবৃতিতে বলেন, নিহতদের পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে।
এদিকে, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ এলাহি মুলতানের কমিশনারকে ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা একটি বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ঘটনার সব দিক তদন্ত করা এবং দায়ীদের চিহ্নিত করা উচিত।
মুখ্যমন্ত্রী দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এছাড়া আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফও এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের এবং তাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করেছেন।
এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় ২০ জনের মূল্যবান প্রাণ হারানোর ঘটনায় আমি শোকাহত। শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য আমার সমবেদনা ও দোয়া রইল।
সূত্র : ডন