আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক ডিপার্টমেন্টের ডিভিশন চিফ রাহুল আনন্দ বলেছেন, বাংলাদেশ কোনো সংকটময় পরিস্থিতিতে নেই। বরং দেশটি বিদেশি ঋণের ক্ষেত্রে ‘এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর তুলনায় বেশ ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে।’
আজ মঙ্গলবার এক অনলাইন সভায় বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেন আইএমএফ’র এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ তুলনামূলক অল্প, যা জিডিপির ১৪ শতাংশের মতো। বাংলাদেশের ঋণ খেলাপির পথে যাওয়ার ঝুঁকি কম। এটির পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কা থেকে বেশ আলাদা।
আইএমএফ’র কাছে বাংলাদেশ সরকারের ঋণ আবেদনের প্রসঙ্গে আইএমএফ-এর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক ডিপার্টমেন্টের ডিভিশন চিফ রাহুল আনন্দ বলেন, অনুরোধটি ‘স্বতঃপ্রণোদিত’।
এর আগে বাংলাদেশ সরকারের ঋণ অনুরোধের পর আইএমএফ’র একজন মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আইএমএফ প্রস্তুত রয়েছে। তহবিল বিষয়ে নিয়মমাফিক নীতিমালা ও প্রক্রিয়া অনুসারে আইএমএফের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রোগ্রাম ডিজাইন বিষয়ে আলোচনা করবেন।
রিজার্ভের পরিমাণ হ্রাস পাওয়া শুরুর পর থেকে বাংলাদেশ সম্প্রতি কয়েকদফা মুদ্রার অবমূল্যায়নের মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে রাহুলের মন্তব্য, টাকার অবমূল্যায়ন তাদের অন্য দেশে দেখা পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনীয় নয়। যদিও বাংলাদেশের রিজার্ভ কমে এসেছে, তবে রাহুল জানিয়েছেন বর্তমান অর্থ দিয়ে দেশের চার থেকে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।