যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রধান কুশীলব ছিল জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অনেক আগে থেকেই জিয়াউর রহমান এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জানতেন।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) গাজীপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, জিয়া খুনিদের উৎসাহ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ইতিহাসের এ বর্বরতম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর ঘাতকচক্রকে পুরস্কৃত করেছিলেন ওই কুশীলব জিয়া। তিনি খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন। তাদের দেশ থেকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছিলেন। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে খুনিদের বিচারের মুখোমুখি হতে অব্যাহতি দিয়ে ইতিহাসের এক অন্ধকারময় অধ্যায়ের সূচনা করা হয়। তাই এখন সময় এসেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গ এবং ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট কালরাতে যাদেরকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে সেই হত্যাকাণ্ডের প্রধান ইন্ধনদাতা খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচার করা। খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচারের মাধ্যমেই জাতি কলঙ্কমুক্ত হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতির ভাগ্য উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। শিক্ষা ছাড়া জাতির উন্নতি যে সম্ভব নয়, তা অনুধাবন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাই তিনি একটি শিক্ষিত জাতির স্বপ্ন দেখেছিলেন। শোষণমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষে গড়ে তুলেছিলেন শিক্ষা ব্যবস্থা। শিক্ষা ব্যবস্থাকে বৈষম্যহীন ও যুগোপযোগী করার জন্য কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু।
তিনি আরও বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ, ১১ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন, ৪৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ ও চাকরি সরকারিকরণ, ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই ও গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পোশাক প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের শুভ সূচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ। সভায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম।