৬টি প্রতিষ্ঠানকে আরও ৩২ হাজার টন চাল আমদানির জন্য অনুমতি দিতে চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে রয়েছে নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল ২০ হাজার টন এবং আতপ চাল ১২ হাজার টন।
বুধবার (১৭ আগস্ট) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে এ সংক্রান্ত দুটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মজিবর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিগুলোতে বলা হয়, এসব ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে উল্লেখিত পরিমাণ (সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙাদানা বিশিষ্ট) নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
আমদানির শর্তে বলা হয়, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে এলসি খুলতে হবে এবং এ সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইল (sasep@mofood.gov.bd) অবহিত করতে হবে। বরাদ্দপ্রাপ্ত আমদানিকারকদেরকে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সব চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে। আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবহিত করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি ইস্যু/জারি করা যাবে না। আমদানি করা চাল সত্ত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে পুনঃপ্যাকেটজাত করা যাবে না। বস্তায় চাল বিক্রি করতে হবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে এ বরাদ্দ আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
উল্লেখ্য, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রথম দফায় গত ৩০ জুন বেসরকারিভাবে ৪ লাখ নয় হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য ৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়।
এরপর গত ৪ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ১২৫টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৪৬ হাজার টন এবং তৃতীয় দফায় গত ৭ জুলাই ৬২টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৮২ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির জন্য অনুমতি দিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এরপর আরও কয়েক ধাপে আমদানির অনুমতি দিতে চিঠি পাঠানো হয় এবং অনুমতিও মেলে।