বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বদলে দেওয়ার লক্ষ্যে দুই দুর্বল ফরম্যাট টেস্টের পর টি-টোয়েন্টিতেও অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়া হলো সাকিব আল হাসানকে। এই ক্রিকেটারের হাত ধরে টি-টোয়েন্টিতে নতুন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলতে চায় বাংলাদেশ।
সেই নতুন ব্র্যান্ডের ক্রিকেটের সঙ্গে দর্শকদের পরিচিত করাতে মিরপুর স্টেডিয়ামে ঘাম ঝরানো অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন টাইগারদের নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব। এদিন মাঠে তার সঙ্গী ছিলেন আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। আর এই দুই তারকা ক্রিকেটারকে মাঠে এদিন পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন গুরু নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
সাকিব এদিন মিরপুরে ব্যাটিং অনুশীলন করেছিলেন মিনিট পঞ্চাশেক। এই সময়ে বোলিং মেশিন থেকে বেরুনো প্রায় ৯০টির মতো বল খেলেছিলেন সাকিব। আর এই পুরো সময়ে কোনো বলে ডিফেন্স না করে বরং প্রতিটি বলেই হাঁকাতে দেখা যায় নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে। মিসহিটিং বা চাওয়ামতো শট এক্সিকিউট করতে না পারলেও আক্রমণ করতে এদিন দ্বিধা করেননি সাকিব।
একই দৃশ্য ছিল মুশফিকের অনুশীলনেও। ‘ওপেনার’ হবেন কি হবেন না এমন দোলাচলে থাকা মুশফিকও পাওয়ার হিটিংয়ের অনুশীলন করেছেন গুরু ফাহিমের কাছে। অন্যদিকে মেহেদী হাসান মিরাজ এবং আনামুল হক বিজয় সুইপ, রিভার্স সুইপ কিংবা ছক্কা হাঁকার কাজ করেছিলেন জেমি সিডন্সের সঙ্গে।
এদিন দুই শিষ্যর সঙ্গে অনুশীলন শেষে গুরু ফাহিম গণমাধ্যমে বলেন, ‘বিপিএলের আগে সাকিবের সঙ্গে আমি কাজ করেছিলাম। বিপিএলে আমরা দেখেছিলাম, সাকিব বেশ পাওয়ার হিটিংয়ে ছিল। অনেক ছক্কাও হাঁকাতে দেখেছি এবং ব্যাট হাতে সম্ভবত দলের সেরা ছিল।’ বিপিএল এই আসরে তার ফল ফরচুন বরিশালের হয়ে ২৪ চার ও ১৫ ছয়ে সর্বোচ্চ ২৮৪ রান করেছিলেন।
এদিকে আরেক শিষ্য মুশফিককে নিয়ে নাজমুল আবেদিন বলেন, ‘সে (ওপেন) করবে কি না জানি না। কারণ, দুজন স্বীকৃত ওপেনার আছে আমাদের দলে। তবে মুশফিক যখন খেলা শুরু করেছিল বিকেএসপিতে ওপেনার হয়েই এসেছে, এটা আমি জানি। পরে ক্যারিয়ারের কারণে ও মিডল অর্ডারে চলে এসেছে।
মুশফিকের ক্ষেত্রে আমি খুব আশাবাদী। আশা করেছিলাম জিম্বাবুয়েতে পাওয়ার হিটিংয়ের সুযোগ নেবে, নেওয়ার সুযোগ ছিল। প্রথম ম্যাচে ফিফটি করেছিল, এমন একটা জায়গায় ছিল পাওয়ার হিটিং করতে পারতো, কেন সুযোগটা নেয়নি আমি জানি না। তবে আমার মনে হয় ও নিজেও আস্তে আস্তে বুঝতে পারছে পাওয়ার হিটিংটা কী।
আজকেও দেখলাম কিছু ভালো শট খেলেছে। আমি নিশ্চিত সামনে আর দু-চারদিন অনুশীলন করলে, আরও বেশি আয়ত্বে আসবে, ও হয়তো আরও এফেক্টভলি ওভার দ্য টপ খেলতে পারবে। টি-টোয়েন্টিতে চার ছক্কা মারার যে ব্যাপার, সেটা সফল হবে।’