গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হট ফেভারিট হিসেবেই গিয়েছিল ভারত। কিন্তু দুবাইতে তারা একপেশে ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে যায় চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে। পরের ধাপেও যাওয়া হয়নি ভারতের। রোহিত শর্মা জানালেন সেই হারের পর তাদের দলের অনেক কিছুই বদলে গেছে। তার কথায় ইঙ্গিত অন্যরকম ভারতের সঙ্গে এবার পেরে উঠা সহজ হবে না পাকিস্তানের।
গত বছর দুবাইতে শাহীন শাহ আফ্রিদির তোপে ১৫১ রান করতে পেরেছিল ভারত। কোন উইকেট না হারিয়ে ওই রান পেরিয়ে জিতে যায় পাকিস্তান।
সেবার ভারতের অধিনায়ক ছিলেন বিরাট কোহলি, সেই দায়িত্ব এখন রোহিতের। কোচ ছিলেন রবি শাস্ত্রী, এবার দায়িত্বে রাহুল দ্রাবিড়। দলের লাইনআপেও এসেছে কিছু বদল।
তবে সবচেয়ে বড় বদল খেলার ধরণে। তরুণ বিস্ফোরক খেলোয়াড়দের টানা পারফর্মের চাপে সিনিয়র ব্যটাররাও রয়েসয়ে খেলার ধারা বদলে ফেলেছেন। শুরুতেই তেড়েফুঁড়ে মেরে খেলার নীতিতে গত কয়েকমাস সাফল্য পাচ্ছে ভারত।
ভারতীয় এক গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাতকারে অধিনায়ক রোহিতের ইঙ্গিত সেদিকেই, ‘অনেকদিন পর এশিয়া কাপ হচ্ছে। কিন্তু গত বছর বিশ্বকাপে দুবাইতে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলেছি, অবশ্যই ফল আমাদের পক্ষে আসেনি। কিন্তু এশিয়া কাপ ভিন্ন। দল এখন ভিন্নভাবে খেলছে, ভিন্নভাবে প্রস্তুতিও নিয়েছে। সেই সময় থেকে অনেক কিছু বদলে গেছে।’
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এবারও এশিয়া কাপ হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। মরুর দেশটির আবহাওয়া থাকবে বড় চিন্তার হয়ে। সেই দিকটা নিয়ে এখন থেকেই ভাবছেন রোহিত, ‘আমাদের জন্য কন্ডিশন পড়তে পারা হবে গুরুত্বপূর্ণ। মাথায় রাখতে হবে আমরা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার বেশি পরিবেশে খেলব। এসব মাথায় রেখেই নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোন লাইনআপ নিয়ে যাবে ভারত, এশিয়া কাপ দিয়ে সেটাও পরিষ্কার হওয়ার মিশন। রোহিত অবশ্য জানালেন দল মোটামুটি ঠিকঠাকই হয়ে গেছে, ‘বিশ্বকাপের এখনো আড়াইমাস বাকি। এর আগে এশিয়া কাপ ও অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটো হোম সিরিজ আছে। দল ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ তৈরি। কন্ডিশন মাথায় রেখে হয়ত তিন-চারটা বদল হতে পারে। এখন আমাদের চিন্তা আরব আমিরাত ও ভারতে খেলা নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন ভিন্ন হবে, আমাদের তখন ভাবতে হবে সেখানে কি দরকার।’