জ্বালানি তেলের দাম ৮০ টাকার নিচে নামিয়ে আনতে তিন দিন ধরে অনশন করছেন সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী আল আমিন আটিয়া। তিনি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
আল আমিন বলেন, জ্বালানি তেলের দাম লিটার প্রতি ৮০ টাকার নিচে না আসা পর্যন্ত আমার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলতে থাকবে।
গত ১৬ আগস্ট সকাল ১১টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন আল আমিন। টানা তিন দিন কিছু না খাওয়ায় তার তার শারীরিক অবস্থা ক্রমান্বয়ে খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এমনকি শোয়া থেকে উঠে দাঁড়াতেও তার কষ্ট হচ্ছে।
আল আমিন বলেন, করোনা মহামারির কারণে সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকায় নাভিশ্বাস চলে এসেছে। সেই রেশ না কাটতেই সরকার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দোহাই দিয়ে বার বার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়েই চলেছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বারবার নিম্নমুখী হওয়ার পরও বাংলাদেশ সরকার কোনো এক অলৌকিক কারণে এই মূল্য বাড়িয়েই চলেছে। যার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম জনসাধারণের নাগালের বাইরে চলে গেছে।
ব্যাপক খরচ বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরিবারগুলো পুষ্টিকর খাবার কেনা তো দূরের কথা, শিক্ষার স্বাভাবিক খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।
এই শিক্ষার্থী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করে লিটার প্রতি ৮০ টাকার নিচে নামিয়ে আনতে হবে। প্রয়োজনে জনগণের ভ্যাট-ট্যাক্সের টাকা থেকে ভর্তুকি দিতে হবে। রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করার জন্য জনগণ যদি রাষ্ট্রকে ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে পারে, তাহলে অবশ্যই রাষ্ট্রকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরণ অনশনের কারণে আমার মৃত্যু হলে, এই দায় সম্পূর্ণভাবে সরকারকেই নিতে হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের নিরাপত্তারক্ষী হারুনুর রশীদ বলেন, আল আমিন তিন দিন ধরে কিছু খায়নি। আমরা জোর করে পানি খাওয়াতে চাইলেও তিনি খাচ্ছেন না।