২০০৭ সালে ২৮ অক্টোবর জেমি সিডন্স যখন প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমরা তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খাবি খাওয়া অবস্থায়। সেখান থেকে সিডন্সের হাত ধরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বড় তারকা হয়ে উঠেছেন টাইগার ক্রিকেটার বর্তমান সিনিয়ররা।
এক যুগ আগে সিডন্সের হাত ধরে টাইগার ক্রিকেটের এই উত্থানের জন্য আবারও সিডন্সের দ্বারস্থ হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যার ফলে ২০২২ সালে এসে আবারও সিডন্সকে ব্যাটিং কোচ করে ফিরিয়ে এনেছে বিসিবি। উদ্দেশ্য ব্যাটসম্যানদের উন্নতি। সিডন্সও সায় দিয়েছেন তাতে। বিসিবি প্রধানকে জানিয়েছেন, এক বছরের মধ্যে পজিশন ধরে ব্যাটসম্যান তৈরি করে দেবেন এই অজি কোচ।
সিডন্সকে নিয়ে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান আজ (১৯ আগস্ট) গণমাধ্যমে বলেন, ‘সিডন্সের সঙ্গে কথা আগে থেকেই ছিল যে শুধু জাতীয় দল নিয়ে কাজ করবে না, ডেভেলপমেন্টে কাজ করবে। ওরও ইচ্ছে এরকমই ছিল। কিন্তু এখানে আসার পর শুধু জাতীয় দলের সঙ্গেই ভ্রমণ করছে। ডেভেলপমেন্টে কাজই করতে পারছে না। জাতীয় দলের ব্যস্ততার ফাঁকে সময়ই পাচ্ছে না। সামনে সে মূলত ডেভেলপমেন্টে কাজ করবে।
বিভিন্ন বয়সী ১০-১৫-২০টি ছেলে যদি আমরা তাকে দিয়ে দেই, এইচপিতে এরকম ছেলে আছে, ‘এ’ দল, বাংলাদেশ টাইগার্সে আছে। ওদের নিয়ে কাজ করে সে তৈরি করে দেবে। সে এক বছর সময় চাচ্ছে। এরপর সে (ব্যাটিং) পজিশন ধরে ধরে আমাদের ব্যাটসম্যান দিতে পারবে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সে (সিডন্স) অবশ্যই জাতীয় দলের সঙ্গে যাব। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এশিয়া কাপে তাকে পাঠাব কিনা। না পাঠালে দলকে যেতে হবে ব্যাটিং কোচ ছাড়া, এটাও খারাপ। আবার সে গেলে এখানে ডেভেলভপমেন্টের কাজ হবে না।
অনেক ইস্যু আছে। এসব নিয়ে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। ২২ তারিখে আমরা আশা করি চূড়ান্ত করে ফেলব।’