নারী ও জুনিয়র লেভেলের ম্যাচ পরিচালনা করার জন্য আম্পায়ারিং পরীক্ষার আয়োজন করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবিআই)। যেখানে ১৪০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন কেবল ৩ জন। ব্যর্থ হয়েছেন বাকি ১৩৭ জন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বরাতে জানা গেছে, আম্পায়ারদের লেভেল-২ পরীক্ষার আয়োজন করেছিল বোর্ড। গত মাসে বোর্ডের তরফে এই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষায় পাস করতে পারলে নারী ও জুনিয়র লেভেলের ম্যাচ পরিচালনা করার সুযোগ ছিল এলিট আম্পায়ারের তালিকায় ঢোকারও। সে জন্য ৯০ নম্বর পাওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। এ শর্ত পূরণ করতে পেরেছেন ৩ জন।
ফিটনেস পরীক্ষায় সবাই পাস করেন। বাধ সাধে লিখিত পরীক্ষায়। জানা গেছে, প্রশ্নপত্রে জানতে চাওয়া হয়েছিল, প্যাভিলিয়ন, গাছ অথবা ফিল্ডারের ছায়া পড়ছে পিচে। ব্যাটাররা এ নিয়ে অভিযোগ জানালে কী করা উচিত। এছাড়া জানতে চাওয়া হয়েছিল, বোলারের তর্জমায় চোট লেগেছে। হাতের টেপ খুললে রক্ত ঝরবে। তা সত্ত্বেও বোলারকে আঙুলের টেপ খুলে বল করতে বলা হবে কি না।
বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পরীক্ষার্থীদের উপস্থিত বুদ্ধি যাচাই করার পরিকল্পনা থেকেই এমন প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়। আম্পায়ারিং শুধু ক্রিকেটীয় নিয়ম কানুন জানা নয়, ম্যাচে পরিস্থিতি অনুযায়ী তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আম্পায়ারের কাজ তাই বেশ কঠিন বলেই মনে করা হয়। গুণগত মানের সঙ্গে আপোস করতে রাজি নয় বিসিসিআই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে আরেক কর্মকর্তা বলেন, আম্পায়ারিংয়ের মান এমনভাবে সেট করা হয়েছিল যাতে যোগ্য ব্যক্তি নির্বাচনের জন্য এগিয়ে যেতে পারেন। আম্পায়ারিং একটি কঠিন কাজ। যাদের প্রতি আবেগ আছে তারাই এগিয়ে যেতে পারে। রাজ্য অ্যাসোসিয়েশনগুলোর পাঠানো প্রার্থীরা যোগ্য ছিলেন না। তারা যদি বোর্ড ম্যাচে দায়িত্ব পালন করতে চায়, তাদের জ্ঞান থাকা উচিত।