দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা বাড়ানোর দাবিতে টানা নবম দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন চা শ্রমিকরা। কিন্তু মালিকপক্ষ দাবি অনুযায়ী মজুরি না বাড়ানোর সিদ্ধান্তে অনড়। ফলে চা শিল্পে একটি অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
রোববার (২১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছেন চা-শ্রমিকরা। মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুরের চৌমুহনীর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর এলাকার তেলিয়াপাড়া, সুরমা, নোয়াপাড়াসহ ২৩টি বাগানের কয়েক হাজার চা-শ্রমিক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন এবং মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শ্রমিকরা ৩০০ টাকা মজুরির জন্য স্লোগান দেন। বাড়তি মজুরির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
বারবার বৈঠক, মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা ঘোষণা এবং চা শ্রমিক নেতাদের নমনীয়তার পরও সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের সাধারণ চা শ্রমিকরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যেতে অনড়। সরকার প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা শ্রমিকের বাস্তব অবস্থা উপলব্ধি করে দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান। ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে বিভিন্ন বাগানে বিক্ষোভ করছেন তারা।
এর আগে টানা কর্মবিরতির অষ্টম দিনের শেষে শ্রীমঙ্গলে শ্রম অধিদপ্তরে বৈঠকের পর কর্মবিরতি স্থগিতের কথা জানান নেতারা। ১৪৫ টাকা দৈনিক মজুরি এবং প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনার আশ্বাসে নেতারা এমন ঘোষণা দিলেও সাধারণ শ্রমিকরা তা প্রত্যাখ্যান করে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগ না দেবার সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে শনিবার (২০ আগস্ট) রাতেই নিজেদের বক্তব্য প্রত্যাহার করে শ্রমিকদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানান চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।
সংকট দূর না হওয়ায় ব্যাপক লোকসানে পড়েছে চা শিল্প। ভরা মৌসুমে চা চয়ন ও প্রক্রিয়াকরণ বন্ধ থাকায় বাগানেই নষ্ট হচ্ছে সতেজ চয়নযোগ্য চা পাতা। এতে ক্ষতি হচ্ছে শত কোটি টাকা। ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে চা উৎপাদন।