জবি প্রতিনিধি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলে কাঁচের দরজা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটছে। এ সময় কক্ষের সামনে থাকা দুটি সিসি ক্যামেরার একটি খুলে ফেলা হয় আরেকটি অন্যদিকে ঘুরিয়ে রাখা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে।
শনিবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাতে এ চুরির ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি অফিসে চুরির ঘটনা ঘটেছে। শনিবারের গুচ্ছের পরীক্ষার কারণে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাত আটটার দিকে ক্যাম্পাস থেকে সবাইকে বের করে দেওয়া হয়।এরপরে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এখন এ বিষয়ে আমাদের ভিসি স্যার কোতোয়ালি থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন তদন্তের বিষয়ে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা শাখা) সাইদুর রহমান রনি বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি অফিসের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মানিক মিয়া গত ১৮ তারিখ সাড়ে সাতটার দিকে অফিসের কাজ শেষে অফিস তালাবদ্ধ করে বাসায় যান। শুক্রবার সরকারি ছুটির দিনে আইকিউএসি অফিসে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী না আসায় ওই ভবনের নিয়মিত নিরাপত্তাকর্মী মো. বোরহান উদ্দিন রানা, মো. ফারুক হোসেন ও সেলিম খানকে ডিউটিতে মোতায়েন করা হয়। নিরাপত্তারক্ষী সেলিম খান রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ডিউটিতে ছিল। মো. বোরহান উদ্দিন রানা ভোর ৬টা থেকে নিরাপত্তা ডিউটি করার সময় সকাল আনুমানিক সাড়ে ৭টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের নিরাপত্তারক্ষী বোরহান উদ্দিন রানা আমাকে ফোন করে জানায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি অফিসের দরজার থাই গ্লাস ভাঙ্গা অবস্থায় আছে। আমি বিষয়টি সহকারী প্রক্টর মাহি উদ্দিন মাহি স্যারকে জানিয়ে তাকে সঙ্গে নিয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়স্থ আইকিউএসি অফিসে সামনে যাই। দেখা যায় অফিসের সামনে স্থাপিত দুটি সিসি ক্যামেরা দিক পরিবর্তন করা আছে। পরবর্তীতে আইকিউএসি অফিসের ভেতরে ঢুকে দেখতে পাই কিছু কাগজপত্রসহ মালামাল এলোমেলো ভাবে পরে আছে।
ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের উপ-পরিচালক অধ্যাপক ড. আইন-উল হুদা বলেন, এখানে চুরি করার মত তেমন কিছু নেই। এ কাজটা কে বা কারা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে করলো তাই এখন তদন্ত করার বিষয়। আর আমাদের এ সেল থেকে নথিপত্র নিয়েও কারও কোনো লাভ হবে না। এ বিষয়ে আমরা বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রশাসনকে জানিয়েছি তারাই ব্যবস্থা নেবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এক সহকারী প্রক্টর জানিয়েছেন সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে চুরির ঘটনা ঘটানো হয়েছে, ঘটনার সময় ক্যামেরা অন্যদিকে আপনি আপনি কি ঘুরে গেছে? কিংবা ঘটনা ঘটার কয়েকদিন আগের কোন ফুটেজ ও নেই তাহলে এর মূল রহস্য কি? এ পিছনে বড় এক চক্র রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কেউ হয়তো চাচ্ছে না এখানে আইকিউএসির রুম থাকুক।
শনিবার সকালে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ছিল কড়া নিরাপত্তার ভিতর বাইরে থেকে কেউ আসার সুযোগ নেই এটা নিশ্চিত যে ভিতরে দায়িত্বরত ব্যক্তিদের সাথে আরো কারো যোগসাজশে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে এটা সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার না হলে ফের ঘটতে পারে এমন ঘটনা।