কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার মুরাদনগরে নেশার টাকা না পেয়ে রোজিনা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে নিহত গৃহবধুর ভাই সালমান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। রুজিনা আক্তার (২৫) উপজেলার পরমতলা গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে। সে তিন সন্তানের জননী ছিলেন। ঘটনার পর থেকে সন্দেহভাজন ঘাতক স্বামী শরিফুল ইসলাম পালাতক রয়েছে। শরীফুল (৩২) একই উপজেলার গুঞ্জর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।
অভিযোগে জানা গেছে, নেশার টাকার জন্য প্রায়ই গৃহবধূ রোজিনাকে নির্যাতন করতো স্বামী শরিফ। এরই মাঝে গত ১৭ আগষ্ট তাকে ব্যাপক নির্যাতন ও মারধর করা হয়। পরে স্বামী শরিফ তাকে আত্মহত্যা করার জন্য কিটনাশক এনে দেয়। এক পর্যায়ে তার মুখে কিটনাশক ঢেলে দেয়া হয়। আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করে বাড়িতে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে ১৮ আগষ্ট রোজিনার ভাই তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূ তার উপর পাশবিক নির্যাতনের বর্ণনা দেয়। যা তার স্বজনরা ভিডিও ধারণ করে রাখেন। ১৯ আগষ্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের পর শনিবার রাতে বাবার বাড়ীতে তাকে দাফন করা হয়।
নিহত গৃহবধুর ভাই সালমান বলেন, আমার বোনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে, তার জবানবন্দি আমাদের কাছে রেকর্ড করা আছে, আমরা ঘাতকের বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ওসি (তদন্ত) আজিজুল বারী ইবনে জলিল বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সন্দেহভাজন স্বামীকে আটক করতে পারলেই এর রহস্য উদঘাটন হয়ে যাবে।