মিরপুরে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি ম্যাচ পর্যবেক্ষণে হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো না থাকলেও ছিলেন শ্রীধরন শ্রীরাম। এই ঘটনাটুকুই ইঙ্গিত দিচ্ছে অনেক বড় কিছুর। ম্যাচের শেষের দিকে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ শেষে খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের সাথে পরিচিত হয়েছেন টাইগারদের নতুন এই টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট।
ভদ্রলোকের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কটা বেশ পুরানো। ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ভারতকে প্রথমবার হারানো ম্যাচের দলে ছিলেন শ্রীরাম। মো. রফিকের বলে আউট হওয়ার আগে খেলেছিলেন ৫৭ রানের দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। পরবর্তীতে এই ছবিটার মতই ঝাপসা তার খেলোয়াড়ি জীবন।
কিন্তু কোচিং ক্যারিয়ারটা যেন ঠিক তার উলটো। তাইতো, দীর্ঘ ৬ বছর অস্ট্রেলিয়া দলের স্পিন ডিপার্টমেন্টের কোচিং স্টাফের অংশ থাকার পর যখন তিনি বিদায় নিলেন; ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছিল, অস্ট্রেলিয়া একজন জিনিয়াস স্পিন কোচ হারালো। ২০১৬ থেকে ২০২২ পর্যন্ত সামলেছেন নাথান লায়ন, অ্যাডাম জ্যাম্পা, ও অ্যাস্টন অ্যাগারদের।
এই ছয় বছরে শ্রীরামের অধীনে টি-২০ ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ দুই উইকেটশিকারী ২ জন স্পিনার। সর্বোচ্চ ৭১ উইকেট নিয়ে তালিকার শীর্ষে অ্যাডাম জ্যাম্পা। তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে ৪৭ উইকেট নেয়া অ্যাস্টন অ্যাগার। তাদের ধারেকাছেও নেই
মিচেল স্টার্ক-প্যাট কামিন্সরা। এমনকি দৃশ্যমান উন্নতি চোখে পড়েছে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল-মিচেল সুইপসনদের।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অজি বোলারদের মধ্যে শীর্ষে ছিলেন ১৩ উইকেট নেয়া অ্যাডাম জ্যাম্পা। ইকোনমিটাও ছিল টি-টোয়েন্টির আন্দাজে ঈর্ষণীয়।
আধুনিক টি-টোয়েন্টির দর্শনটা আক্রমণাত্মক। সেই দর্শনের সাথে খাপ খাওয়াতে চায় বাংলাদেশ। যে কারণেই দলের সাথে যুক্ত করা হচ্ছে শ্রীধরন শ্রীরামকে। তবে মূল ভূমিকাটা কী হবে তা জানা যাবে সোমবার। অনুশীলন ম্যাচে রাসেল ডোমিঙ্গোর অনুপস্থিতিই বলে দিচ্ছে, খুব সম্ভবত টাইগারদের টি-টোয়েন্টি দলটাকে শ্রীরামের হাতেই তুলে দিতে চায় বিসিবি।