কামরুজ্জামান শাহীন,ভোলা প্রতিনিধি: পাঁচ দিনেও সন্ধান মেলেনি সমুদ্রে মাছ শিকারে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া দুই ট্রলারের ১৭ জেলের। এ অবস্থায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় মধ্যে রয়েছেন তাদের পরিবারের স্বজনেরা। কান্নায় ভেঙে পড়ছেন অসহায় স্বজনরা। এর মধ্যে উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বারেক মাঝির মালিকানাধীন এফবি লামিয়া ১৩ জেলেসহ নিখোঁজ রয়েছে। অপর ট্রলারটি একই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মন্নান মাঝির মালিকানাধীন, সেখানে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের ৪জন জেলে রয়েছেন। তবে তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কোস্টগার্ড।
নিখোঁজ বারেক মাঝির ভাই মো. বাবুল বলেন, গত ১৭ আগস্ট সকালে আমার ভাই বারেক মাঝি, আলাউদ্দিন মাঝি, আল-আমিন, দেলওয়ার, আলাউদ্দিন মীর, শাহিন হাওলাদার, আবুল মৃধা, মনির বেপারী, সারোয়ার, ইউসুফ, সফিউল্ল্যাহ, ইব্রাহিম ও আরও একজনকে নিয়ে মাছ শিকারে সাগরে যায় এফবি লামিয়া ট্রলার। সাগরে বৈরি আবহাওয়ার পর থেকেই এখনো তাদের কোনও খোঁজ-খবর পাইনি। তাদের ট্রলার ডুবে গেছে নাকি নেটওয়ার্কের বাইরে রয়েছে তাও কারো জানা নেই। প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ যাতে নিখোঁজ জেলেদের সন্ধান পেতে সহযোগিতা করেন।
জানা গেছে, বৈরি আবহাওয়ায় চরফ্যাশনের ১০টি ট্রলার নিখোঁজ ছিল। এর মধ্যে রোববার পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৮ টি ট্রলার ও জেলে। উদ্ধার হওয়া ট্রলারগুলোতে প্রায় ২ শতাধিক জেলে ছিল। বর্তমানে তারা নিজেদের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
সাগর থেকে ফিরে আসা মন্নান মাঝি বলেন, আমি ১৭ জন জেলে নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যাই। হঠাৎ নিম্নচাপ শুরু হলে আমার ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। পরে সাগরে ভাসমান অবস্থায় পাশ দিয়ে যাওয়া রিয়াজ মাঝি ও ফিরোজ মাঝির ট্রলার আমার ১৭ জন জেলেকে উদ্ধার করে। কিন্তু মাছ ধরার ট্রলারটি সাগর থেকে আনা সম্ভব হয়নি। আমার ট্রলারটি যাতে ফিরে পাই, সে বিষয়ে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকা চরফ্যাশন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল মতিন খান বলেন, নিম্মচাপের পর থেকেই নিখোঁজ হওয়া ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধার করতে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের কয়েকটি টিম গভীর সমুদ্রে অভিযান চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত বারেক মাঝির ১৩ জন জেলেসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আরও ৪ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় বারেক মাঝির পরিবার দক্ষিণ আইচা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।