ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম হত্যার বিচার ও জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপি’র আয়োজন প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১০ টার দিকে চরফ্যাশন-মনপুরার সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমের পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ডের আদর্শ পাড়াস্থ নিজ বাস ভবনে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক মেয়র আমিনুল ইসলাম মিন্টিজের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক মোতাহার হোসেন আলমগীর মালতিয়ার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন-চরফ্যাশন-মনপুরার সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন- ভোলা জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক হারুন আর রসিদ ট্রুম্যান, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক, চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারন সম্পাদ জাকির হোসেন বাবলু, চরফ্যাশন পৌর বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সোহেল, দপ্তর সম্পাদক মাওঃ রফিকুল ইসলাম আসলামী প্রমূখ।
এ সময় বক্তরা বলেন, আব্দুর রহিম, নুরে আলম সেদিন কী অপরাধ করেছিল, কেন তাঁর মা–-বাবার কোল খালি করা হলো। তাঁরা কোনো অন্যায় করেননি। তাঁরা জনগণের দাবির স্বার্থে মাঠে নেমেছিলেন। এ অন্যায়ের জবাব কে দেবে? কে এর বিচার করবে?। আজকে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা করা হচ্ছে। নুরে আলম ও আব্দুর রহিমের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। এ রক্তের সিঁড়ি বেয়ে সারা বাংলাদেশের জনতা স্বৈরাচারী নিশি রাতের সরকারকে উৎখাত করে ছাড়বে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। দেশনায়ক তারেক রহমানকে বীরের বেশে দেশে ফিরিয়ে আনবে ইনশাআল্লাহ।
তারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই দেশ বিক্রির চক্রান্ত করে। দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলী দিয়ে বিদেশী প্রভূদের খুশি রাখে। তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে তা আবারো প্রমানিত হয়েছে। তবে, এবার আর তাদেরকে সেই সুযোগ দেওয়া হবে না। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায়, দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সবাইকে রুখে দাড়াতে হবে। রাজপথে রক্ত দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে।
এদিকে সকাল থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত হয়েছেন।
চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে বলেন, সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সভায় নেতাকর্মীদের আসতে বাঁধা দেন ও মারধর করেন সরকার দলীয় কর্মীরা।