রাশেদ হোসেন রনি, জবি প্রতিনিধি: জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র পেছনে ফিরে দেখা শীর্ষক আলোচনা সভা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মিলনায়তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এম পি।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক,বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, আলোচনা সভায় প্রধান উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.মোঃ আবুল হোসেন, মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড.মোঃ সেলিম।
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ইতিহাসকে পালটে ফেলেছেন জিয়াউর রহমান। রাজনৈতিক বিষয়কে বিষাক্ত করে তুলেছেন সামরিক শাসকরা। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ধারা হলো একটা উদার রাজনৈতিক ধারা। সবসময় মনে রাখতে হবে বিপরীত ধারার লোক এখনো আছে তাদের উত্তরসূরীরা এখনো আছে তাদের কাজই অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে বিরোধিতা করা। তারা সবসময় এগিয়ে যাওয়ার বিষয়কে বাধাগ্রস্ত করে বিরোধিতা করে। তারা অগ্নিসন্ত্রাস,রাজনৈতিক রাহাজানির সাথে জড়িত। একজন সাহসী অধিকারসচেতন মানুষ ছিলেন বঙ্গবন্ধু তার সারাজীবনে ত্যাগ তিতিক্ষা করে একসময় বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠলেন তিনি সবসময় মানুষকে বুঝতেন। তার কখনো ক্ষমতার প্রতি মোহ ছিল না যা করতেন সবই মানুষের জন্য যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পোষন করেন। বঙ্গবন্ধু কখনো কোন হঠকারী সিদ্ধান্ত নেননি। তবে নিজের প্রতি যে হুমকি আসতে পারে তা তিনি কখনো উপলব্ধি করেন নাই কারণ তিনি মানুষকে বিশ্বাস করতেন। সামরিক শাসকরা যারাই ক্ষমতায় এসেছিল তারাই এ দেশকে শোষন করেছে। এমনকি নিজেদের অস্তিত্ব নিয়েই পরবর্তীতে নিজেদের ভিতর দ্বন্দ তৈরি হয়।আমাদের সংবিধানের মূলনীতির ভিতরই খুঁজে পাওয়া যায় তাকে হত্যার মূল কারণ। কি পরিমাণ হিংস্রতা ছিল তা আমরা বুঝতে পেরেছি কারণ আমরা জানি যেখানে একজন মানুষকে হত্যা করতে একটু বুলেট যথেষ্ট সেখানে একটি নয় ১৮টি গুলি করা হয়। সেই ধারাবাহিকতা এখনো আছে ২১ বার চেষ্টা করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মোঃ ইমদাদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কারণ ছিল বঙ্গবঙ্গবন্ধু সারাজীবন মেহনতী মানুষের জন্য কাজ করেছেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে মর্মান্তিক হত্যাকান্ডে বিশ্বইতিহাসে জগন্যতম কাজ। তখন কোথায় ছিল বঙ্গবন্ধুর কাছের লোকেরা। এ কথাটি প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা ও বলেছেন। ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো থেমে নাই। প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আসল খলনায়ক জিয়াউর রহমান, মেজর ডালিম সহ যারা জড়িত ছিল তাদের দোসরদেরকে বিচারের আওতায় এনে ইতিহাসকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে।
ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম বলেন,বঙ্গবন্ধুর শরীরে ১৮টি গুলি করা হয় একটা মানুষকে হত্যা করতে এত গুলি দরকার হয় না। বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাসের সাথে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাদের বিচার হওয়া উচিত।
এছাড়া আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভন্ন বিভাগের শিক্ষক,কর্মকর্তা,কর্মচারীবৃন্দ।বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।