কদিন আগে টি-টোয়েন্টি দল থেকে রাসেল ডমিঙ্গোকে প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ডমিঙ্গোকে সরিয়ে দেয়ার আগে ২০ ওভারের ক্রিকেটে নিজেদের ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে শ্রীধরন শ্রীরামকে টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পেলেও এশিয়া কাপে প্রধান কোচের ভূমিকাই পালন করবেন এই ভারতীয় কোচ। এশিয়া কাপ শুরুর আগে নিজের ভূমিকাটা পরিস্কার করার পাশাপাশি শ্রীরাম জানালেন, নেতৃত্ব দিতে নয় বরং অধিনায়ক, অন্যান্য কোচ এবং টিম ডিরেক্টরের কাজ করে দলকে সহযোগিতা করা।
সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে শ্রীরাম বলেন, ‘খুবই সহজ ব্যাপারটা। আমি আমার ভূমিকা সম্পর্কে পরিষ্কার। আমার ভূমিকাটা হলো রিসোর্স একত্র করা। আমাদের খুব ভালো কয়েকজন স্কিল কোচ আছেন। তারা যা করেন, তার ওপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। আমার কাজ মূলত অধিনায়ক, টিম ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করা, এবং স্কিল কোচদের নিয়ে—তিনটি ভাগকে একত্রে আনা।’
‘অস্ট্রেলিয়া এবং আইপিএলে কাজ করে (পাওয়া) আমার টি-টোয়েন্টি অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কৌশল একত্র করা—যাতে রিসোর্স ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারি। আমি বলছি না যে আমি দলকে নেতৃত্ব দেব, আমি শুধু সহযোগিতা করছি।’
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর দায়িত্ব সামলাতে কদিন আগেই অস্ট্রেলিয়ার সহকারী কোচের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন শ্রীরাম। অস্ট্রেলিয়ার দায়িত্ব ছাড়ার পর দেশে ফিরে তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে (টিএনপিএল) ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন তিনি। এমন সময় খালেদ মাহমুদ সুজনের কল পেয়ে বাংলাদেশের কোচিং প্যানেলে যোগ দেন শ্রীরাম।
বাংলাদেশের চাকরি পাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই সহকারী কোচ বলেন, ‘আমি কেবল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দায়িত্ব ছেড়ে টিএনপিএলে ধারাভাষ্য দিচ্ছিলাম। তখন খালেদ মাহমুদ সুজন আমাকে ফোন করে। তারা আমাকে টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসাবে পেতে চায়। এরপর ঘটনা গুলো খুব দ্রুত ঘটে যায়। এখন আমি আপনাদের সামনে।’