নাটোরের লালপুরে বড় বাড্ডা এলাকায় মায়ের হাতে নুডলস খেতে গিয়ে তিন বছরের এক শিশুর গলায় আস্ত একটা সেফটিপিন আটকে গেছে।
শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিশুটির পরিবার। শিশু সোহানা আক্তার জিদনি নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের বড়বাগপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
শিশুটির পরিবার জানায়, বুধবার রাত ১২টার দিকে জিদনীকে নুডলস খাওয়ান মা জুলেখা বেগম। ওই সময় নুডুলসের সঙ্গে মিশে থাকা একটি সেফটিপিন জিদনীর গলায় আটকে যায়। তৎক্ষণাত সে বমি করতে শুরু করে। ধীরে ধীরে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওই রাতেই বাঘার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরে ওই রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসক।
জিদনীর মা জানান, নুডলস খাওয়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গলায় কি যেন আটকে যায়। সে তৎক্ষণাত বমি করতে শুরু করলে রাতেই বাঘার ক্লিনিক থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এবং অপারেশনের মাধ্যমে সেফটিপিন বের করা হয়। এখন স্যালাইন চলছে। তবে চিকিৎসক বলেছেন আর কোনো সমস্যা নেই।