সংযুক্ত আরব আমিরাতে আজ পর্দা উঠছে ১৫তম এশিয়া কাপের। উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে খেলা।
ছয় দলের টুর্নামেন্টে ‘বি’ গ্রুপে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তানের সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশ। ‘এ’ গ্রুপে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গী হয়েছে বাছাইপর্বের চ্যাম্পিয়ন হংকং। আগামীকাল দুবাইয়ে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচে দেখা হবে ভারত ও পাকিস্তানের। আর বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ অক্টোবর, আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
আজ এশিয়া কাপের উদ্বোধনী দিন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি আফগানিস্তানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা শততম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামবে আফগানরা। ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ খেলার সুযোগ ছিল শ্রীলঙ্কার। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ আয়োজন করতে পারেনি লংকানরা।
তারপরও মরুর দেশে শিরোপা জয়ের জন্য ফেভারিটদের তালিকায় শ্রীলঙ্কাও আছে। টপ-অর্ডারে কুশল মেন্ডিস, দানুশকা গুনাথিলাকা, দিনেশ চান্ডিমালের ওপর নির্ভর করবে শ্রীলঙ্কার সাফল্য। তবে শ্রীলঙ্কার শক্তি তাদের বোলিং। স্পিনে তাদের সবচেয়ে বড় তারকা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তার সঙ্গে আছেন মহেশ থিকশানা, প্রবীণ জয়াবিক্রমা ও জেফরি ভান্ডারসে।
এদিকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আফগানিস্তানের সুনাম রয়েছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের চাহিদা ও বিশ্বের বিভিন্ন লিগে এই দেশের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের কারণে আফগানিস্তানকে টি-টোয়েন্টিতে সমীহ করার মতো দল বলে মনে করা হয়।
আফগানিস্তানের শক্তির জায়গা সবসময়ই তাদের স্পিন ডিপার্টমেন্ট। যার নেতৃত্বে থাকেন লেগ স্পিনার রশিদ খান। কিন্তু টুর্নামেন্টে ভালো করতে গেলে শুধু একটি বিভাগে রসদ থাকলেই চলে না। ব্যাটিংটাও হওয়া লাগে সময়োপযোগী। ফলে এই ব্যাটিং বিভাগই এবারের এশিয়া কাপে আফগানদের ক্যাম্পেইনের মূল প্রভাবক হতে পারে। নতুন কোচ জনাথন ট্রটের অধীনে তাই ব্যাটিংয়েও মনোযোগী হয়েছে আফগানিস্তান।