তুরস্কের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় দেশ সানলিউরফার বাসিন্দা মেতিন ওরেনলার পেশায় একজন কৃষক। তবে শস্য কিংবা শাকসবজি চাষ করেন না তিনি; গবাদিপশু-পাখি বা মাছের চাষও নেই তার।
তবে খামার একটি রয়েছে তার, আর সেই খামারে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার বিষাক্ত কাঁকড়াবিছে। খামারে সারি সারি স্বচ্ছ বাক্সে থাকা এই কাঁকড়াবিছের বিষ বিক্রি করেই মাসে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করছেন ওরেনলার।
মেতিন ওরেনলার খামারে যেসব কাঁকড়াবিছে রয়েছে, সেগুলোর সবই অ্যানড্রোক্টোনাস তুর্কিয়েনসিস জাতের। এই জাতের কাঁকড়াবিছের বিষে যেসব প্রোটিন ও পেপটাইড পাওয়া যায়, তা বিভিন্ন ওষুধ ও প্রসাধনীর কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ কারণে বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে ইউরোপের ওষুধ ও প্রসাধানী শিল্পে এই বিষের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
তবে বিষ আহরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যাপারটি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ। রয়টার্সকে মেতিন ওরেনলার জানান, তিনি ও তার খামারের কর্মচারীরা প্রতিদিন বিভিন্ন বাক্স থেকে একটি একটি করে কাঁকড়াবিছে তোলেন। তারপর দু’টি চিমটার সাহায্যে একটি বিশেষ পাত্রে সেই বিছের লেজের কাঁটা থেকে বিষ সংগ্রহ করেন। এক একটি বিছে থেকে প্রতিদিন ২ মিলিগ্রামের মতো বিষ পাওয়া যায়।
‘পর্যাপ্ত পরিমাণ বিষ সংগ্রহ করা হলে তা প্রথমে হিমায়িত করা হয়, তারপর তা গুঁড়ো করে ইউরোপের বিভিন্ন ক্রেতার কাছে পাঠানো হয়,’ রয়টার্সকে বলেন তিনি।
ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রসাধনী, ব্যাথানাশক ও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রস্তুতকারী বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্যের কাঁচামাল হিসেবে বিষ ব্যবহার করে উল্লেখ করে ওরেনলার বলেন, বর্তমান প্রতি লিটার ১ কোটি ডলার দরে বিষ বিক্রি করেছেন তিনি।