মীর দুলাল (হবিগঞ্জ) জেলা প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের বাহুবলে স্কুল থেকে ফেরার পথে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে বন্ধুর বাড়িতে আটকে রেখে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার পর থেকে ধর্ষক শামীম মিয়া (২৫) পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।সে উপজেলার চারাগাও এলাকার খালেক মিয়া মিয়ার ছেলে।
শনিবার( ২৭ আগষ্ট ২২)ইং হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়,গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে অসুস্থ অবস্থায় হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার মিরপুর-বানিয়াগাও গ্রামের জৈনিক ব্যক্তির কন্যা ও মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ১০ম শ্রেনির ছাত্রীকে রাস্তায় একা পেলেই কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল একই উপজেলার চারগাও এলাকার খালেক মিয়ার ছেলে শামিম মিয়া। এতে ওই ছাত্রী সাড়া না দিলে শামীম তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তার রাস্তা অবরোধ করে শামীম। এ সময় সে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে মিরপুর এলাকায় তার বন্ধু মারুফ মিয়ার বাসায় আটকে রাখে। পরে সে ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এদিকে, ওই ছাত্রী বাড়িতে না ফেরায় হতাশ হয়ে পড়েন তার পরিবারের লোকজন। বিভিন্ন এলাকায় খোজাখুজির পর গতকাল দুপুরে মিরপুরে শামীমের বন্ধু মারুফের বাসায় তার সন্ধান পাওয়া যায়। এ সময় স্থানীয় মুরুব্বীয়ানের সহযোগীতায় ওই বাসা থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার করেন পরিবারের লোকজন। পরে গতকাল সন্ধ্যায় অসুস্থ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সদর হাসপাতালে ওই ছাত্রীর মা সাংবাদিকদের জানান, পারিবারিক ভাবে তাদের পছন্দের জায়গায় ওই ছাত্রীর বিয়ে ঠিক করেন তারা। বিষয়টি জানতে শামীম বেপরোয়া হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে শামিম মিয়া তার মেয়েকে তুলে নিয়ে মারুফের বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করে।