কামরুজ্জামান শাহীন, ভোলা প্রতিনিধি: যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের একটি ফেরি বিকল হয়ে পড়ায় ভোলার-ইলিশা ঘাটে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফেরির দেখা পাচ্ছেন না ট্রাক চালক-শ্রমিক ও যাত্রীদের। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
প্রয়োজনের তুলনায় ফেরি কম থাকায় ঘাটে এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। তবে আগামী ২/১ দিনের মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ ফেরিটি সচল হবে বলে জানিয়েছে ফেরি কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, দেশের দীর্ঘতম ফেরিরুট ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে কনকচাঁপা কৃষানি, কুসুমকলি ও কদম নামে ৪টি ফেরি চলাচল করে আসছে। কিন্তু গত ২৬ আগস্ট রাত থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কনকচাঁপা নামের ফেরি বিকল হয়ে যায়। বর্তমানে ৪টির স্থানে ৩টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারপার হচ্ছে। এতে ফেরির ট্রিপ কমে যাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে যানজটের। এ লাইনজটের কারণে ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফেরির দেখা পাচ্ছেন না চালক-শ্রমিকরা। এতে নিদিষ্ট সময় গন্তব্যে যেতে না পারায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তারা।
ট্রাক সালাম ও নাজিম বলেন, ঘাটে সকাল থেকে বসে আছি কিন্তু ফেরির দেখা পাচ্ছি না। কখন ফেরি পাবো তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
যাত্রী ইউনুঝ ও আফসার উদ্দিন বলেন, ফেরি নষ্ট থাকায় ট্রিপ কমে গেছে, দুই ঘণ্টা ধরে ঘাটে ফেরির জন্য অপেক্ষায় আছি।
ট্রাকচালক মো. ইলিয়াস বলেন, চট্টগ্রাম যাবো ২ দিন ধরে ঘাটে আটকে আছি, এতে আমাদের খরচ বাড়ছে, কখন যেতে পারবো জানা নেই। এই ঘাটে আরও ফেরি বাড়িয়ে দিলে ভালো হত।
পরিবহন চালক ও শ্রমিকদের অভিযোগ, ঘাটে দীর্ঘদিন ধরেই ফেরির সমস্যা কাটছে না, রুটটি স্বাভাবিক রাখতে এখানে রো রো ফেরি চালুর দাবি ট্রাক চালকদের।
এ ব্যাপারে ইলিশা ফেরিঘাটের ম্যানেজার (বিআইডব্লিটিসি) পারভেজ খান বলেন, একটি ফেরির ত্রুটি দেখা দেওয়ায় মেরামতের চেষ্ট চলছে, তবে ঘাটে উল্লেখযোগ্য জানজট নেই। বিকল ফেরিটি চালু হলে সাময়িক এ সমস্যাটিও থাকবে না। আগামী ২/১ দিনের মধ্যে বিকল ফেরিটি চালু হলে ঘাটের যানজট কমে যাবে।
এদিকে ভোলার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলেল ২১ জেলার যোগাযোগের সহজ মাধ্যম ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি সার্ভিস। এটি জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা ও ভোলাবাসী।