সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠল মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের আসর এশিয়া কাপের। এশিয়ান ক্রিকেটের এই সর্ববৃহৎ আসরে অংশ নিচ্ছে ৬টি দেশ। এশিয়ার পাঁচটি টেস্টখেলুড়ে দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের সঙ্গে টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে আইসিসির সহযোগী দেশ হংকং। ১১ সেপ্টেম্বর ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে এবারের আসরের।
এবারের আসর শ্রীলঙ্কায় আয়োজনের কথা থাকলেও নিরাপত্তার কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাত স্থানান্তর করা হয়। তবে আয়োজক হিসেবে থাকছে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডই। এতে এশিয়া কাপ নিজেদের মাটিতে আয়োজন না করেও আয়োজক হওয়ার কারণে বেশ মোটা অঙ্কের অর্থই পাচ্ছে এসএলসি।
ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) কাছ থেকে আনুমানিক ৬৫ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৬১ কোটি ৬৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা) পাবে তারা। এর মধ্যে আছে আয়োজক স্বত্ব ফি, টিকিট বিক্রি ফি ও ৬ দলের অংশগ্রহণ ফি।
যদিও শ্রীলঙ্কা নিজেদের দেশে টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে তাদের আয় আরও বেশি হতো, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এমন মত দিয়েছেন দলটির সেক্রেটারি মোহন সিলভাও। তিনি বলেন, ‘আমরা এটা (এশিয়া কাপ) আয়োজন করতে পারলে অর্থনীতিতে তা দারুণ প্রভাব ফেলতো।’
এশিয়া কাপের টিকিট বিক্রি করে যে রাজস্ব আসবে, আরব আমিরাত তা টুর্নামেন্ট আয়োজনে খরচ করবে। শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপ আয়োজন করলে আয়োজক ফি হিসেবে তারা ২৫ লাখ ডলার পেত। টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যয় সেখান থেকে মেটাত এসএলসি। টিকিট বিক্রির টাকাটা লভ্যাংশ হিসেবে যোগ হতো। যদিও এশিয়া কাপ নিজেদের মাটিতে আয়োজন করতে না পারলেও টিকিট বিক্রির একটা অংশ আয়োজক ফি হিসেবে পাবে এসএলসি।
এদিকে আর্থিকভাবে বাংলাদেশের লাভও কম নয়। এসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সম্ভাব্য আয় ২০ থেকে ২২ কোটি টাকা।
নিয়ম অনুসারে, এশিয়া কাপ থেকে পাওয়া ৭৫ শতাংশ রাজস্ব পায় পূর্ণ সদস্যরা। বাকি ২০-২৫ শতাংশ পাবে সহযোগী দেশগুলো। আর তাই পূর্ণ সদস্যের দেশ হওয়ায় ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ সমপরিমাণ অর্থ পাচ্ছে।
এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে শেষ হাসি কে হাসবে সেটা সময়ই বলে দেবে, তবে টাকার অঙ্কে লাভবান হচ্ছে সব দলই।