নয় ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছয় হাজার আটশত দশ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। তবে পাঁচ বছর আগে ২০১৭ সালে এসব ব্যাংকের খেলাপি ছিল ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত পাঁচ বছরের ব্যবধানে খেলাপি বেড়েছে পাঁচ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা। এ সময়ে খেলাপি বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, যা খুবই অস্বাভাবিক। বিপরীতে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ঋণ বিতরণ। অর্থাৎ চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকে ঋণ বিতরণের তুলনায় খেলাপির হার অনেক বেশি বলে জানায় প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানায়, পদ্মা ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ৬৮ শতাংশ। ইউনিয়ন ব্যাংকের বর্তমান খেলাপির অঙ্ক ৭১২ কোটি, যা মোট ঋণের প্রায় চার শতাংশ। মেঘনা ব্যাংকের খেলাপি দাঁড়িয়েছে ২৪১ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত মোট ঋণের প্রায় ৬ শতাংশ। এ বছরের জুন শেষে চার হাজার ৭৯০ কোটি টাকা বিতরণ করেছে মিডল্যান্ড ব্যাংক। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে পড়েছে ১৬২ কোটি টাকা। হিসাব অনুযায়ী খেলাপি ঋণ বিতরণকৃত মোট ঋণের প্রায় সাড়ে তিন শতাংশ। বর্তমানে মধুমতি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার তিন দশমিক ৪৩ শতাংশ। কারণ চলতি বছরের জুন শেষে পাঁচ হাজার ২৫৪ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে মধুমতি ব্যাংক।
তথ্যমতে, ব্যাংক অনুমোদনের প্রথম তিন বছরের মধ্যেই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার কথা ছিল এই নয় ব্যাংকের। কিন্তু ১০ বছর অতিক্রম করলেও এখন পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে পেরেছে মাত্র তিনটি-সাউথ বাংলা অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার, এনআরবি কমার্শিয়াল ও ইউনিয়ন ব্যাংক। বাকিরা এখনো তালিকাভুক্ত হতে পারেনি।
এদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পদ্মা ব্যাংকের। ব্যাংক অনুমোদনের সময় কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণ প্রধান শর্ত থাকলেও গত অর্থবছরে ব্যাংকটি এ খাতে কোনো ঋণ বিতরণ করেনি।