পৃথিবীর মায়া ছেড়ে ওপারে চলে গেলেন স্বনামধন্য চলচ্চিত্র অভিনেতা আব্দুল্লাহ আল সাকী পান্না। দুই বছর বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভোগে গ্রামের বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রীসহ দুই সন্তান রেখে যান।
এই চলচ্চিত্র অভিনেতার বাড়ি জামালপুর শহরের রশিদপুর গ্রামে। তিনি সাবেক মেয়র ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন ও বিসিবির সাবেক পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ানের বড় ভাই। শনিবার (২৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২ টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর জানাজা নামাজ রবিবার সকাল ১০ টায় রশিদপুর ইজ্জতুননেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষেরা অংশ নেয়।পরে রশিদপুরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
আব্দুল্লাহ আল সাকী পান্নার ছোট ভাই শাহ্ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ জানান, স্কুলে পড়াকালীন সময়েই তিনি অভিনয়ে প্রবেশ করেন। তাঁর রক্তে মিশে গিয়েছিল অভিনয় করার নেশা। তাই ঢাকায় মহা হিসাব নিরীক্ষক অফিসে অডিট সুপারেন্টেন্ড পদে চাকরি করেও অভিনয়কে তিনি ছাড়েননি। চাকরির পাশাপাশি তিনি রুপালি পর্দায় অভিনয় শুরু করেন।
৮০ ও ৯০ দশকে প্রেমগীত, মায়ের দোয়া, ঝিনুক মালার প্রেম ও মাটির কূলেসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক চলচ্চিত্রে খলনায়কসহ পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন এই চলচ্চিত্র অভিনেতা। খ্যাতিমান পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত প্রায় সিনেমাতেই খলনায়কসহ পার্শ্ব চরিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন। তার মৃত্যুতে চলচ্চিত্রশিল্প একজন গুণী অভিনেতাকে হারাল।
চলচ্চিত্র অভিনেতা আব্দুল্লাহ আল সাকী পান্না ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের জনক। তার স্ত্রী নাহিদা ইয়াসমিন ও মেয়ে সোনিয়া সাকী অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। ছেলে শাহ মো. আব্দুল্লাহ সৌদ জেসন ঢাকায় ব্যাংক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।