মীর দুলাল( হবিগঞ্জ) জেলা প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের মাধবপুরের ধর্মঘর এলাকায়”মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে নারীকে অপহরন করে ৩ অপহরণকারী।
রবিবার (২৮ আগষ্ট২২) ইং বিকালে মাধবপুর থানার পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান।
শুক্রবার বিকালে ভিকটিম (২২) তাহার পিত্রালয় হইতে হরষপুর রেল স্টেশন বাজারের উদ্দেশ্যে পায়ে হাঁটিয়া রওয়ানা করিলে বিকাল অনুমান ০৫.০০ ঘটিকার সময় হরষপুর রেল স্টেশন বাজার হইতে অনুমান ৩০০ গজ দক্ষিন দিকে হরষপুর-ধর্মঘর পাকা রাস্তায় পৌঁছামাত্র মোঃ নাজমুল হোসেন (২৬), পিতা-মৃত আলী হোসেন, শাহিন মিয়া (২৫), পিতা-মোঃ নুর মিয়া, উভয় সাং-বীরপাশা, থানা-বিজয়নগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মোঃ একলাছ মিয়া (২৬), পিতা-মোঃ আছকির মিয়া, সাং-হলহলিয়া, থানা-চুনারুঘাট, জেলা-হবিগঞ্জসহ অজ্ঞাতনামা ০১ জন ভিকটিম এর চোঁখে মুখে রুমাল প্যাঁচাইয়া মুখে চাপ দিয়া ধরিয়া জোর পূর্বক পাঁজাকোলে করিয়া একটি অজ্ঞাতনামা সিএনজি গাড়িতে উঠায়া অজ্ঞাতনামা একটি স্থানে নিয়া যায়।এবং ভিকটিমকে বাড়িতে যোগাযোগ করিয়া তাহাদেরকে ৭,০০,০০০/-(সাত লক্ষ) টাকা মুক্তিপণ আনিয়া দিতে বলে। অন্যথায় তাহারা তাকে ধর্ষণ করিয়া খুন করতঃ লাশ গুম করিয়া ফেলিবে মর্মে হুমকি দেয়।পরবর্তীতে ভিকটিম ভয়ে তাহার বাড়ীতে মুক্তিপনের টাকা চাইলে তখন তাহার পিতা মাধবপুর থানায় আসিয়া ঘটনার বিষয়ে জানান। এসআই (নিঃ) ইসমাইল হোসেন ভূঁইয়া নেতৃত্বে মাধবপুর থানার একটি চৌকস টিম অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক এর তত্ত্বাবধানে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিম (২২) এর অবস্থান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে।
শনিবার সন্ধ্যা অনুমান ০৬.৩০ ঘটিকার সময় চুনারুঘাট চা-বাগান হইতে ভিকটিম (২২) সহ ০৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে উক্ত বিষয়ে মাধবপুর থানার মামলা নং- ৫৮, তারিখ- ২৮/০৮/২০২২ খ্রিঃ, ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী-০৩) এর ৭/৮/৩০ রুজু করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম মোঃ নাজমুল হোসেন (২৬), পিতা-মৃত আলী হোসেন, শাহিন মিয়া (২৫), পিতা-মোঃ নুর মিয়া, উভয় সাং-বীরপাশা, ১নং বুধন্তী ইউপি, থানা-বিজয়নগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মোঃ একলাছ মিয়া (২৬), পিতা-মোঃ আছকির মিয়া, সাং-হলহলিয়া, থানা-চুনারুঘাট, জেলা-হবিগঞ্জ।