চলচ্চিত্রের মুভিলর্ড খ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল ঘোষণা দিয়ে একের পর এক সিনেমা নির্মাণ করে যাচ্ছেন। প্রযোজক হিসেবে পেয়েছেন সফলতা। সময়ের সঙ্গে তাল মেলানোর বিশেষ এক ক্ষমতা আছে তার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সরব ডিপজল। ছবি-ভিডিও শেয়ার করে কাজের আপডেট অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। বিভিন্ন সময় ফেসবুক লাইভে নানান বিষয়ে কথা বলতেও শোনা যায় তাকে।
বর্তমান সময়ে শিল্পীদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ির প্রবণতা বেশি। বিভিন্ন ইস্যুতে একে অপরকে আক্রমণ করে কথা বলতেও ছাড়েন না। সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে তাদের অন্তবর্তী কোন্দল প্রকাশ্যে আসা মুহূর্তের ব্যপার! ফলে বিভিন্ন মহলে শিল্পীরা হাস্যরসে পরিণত হচ্ছেন! বিষয়টি মোটেও ভালোভাবে দেখছেন না বর্ষীয়ান অভিনেতা ডিপজল।
শিল্পীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কিছু কিছু লোক ফিল্ম নিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করছে। কিছু হলেই ক্যামেরার সামনে চলে আসছে, এগুলো ঠিক না। প্রত্যেকে নিজ নিজ সমিতিতে বিচার দিন। সেটা না করে হুটহাট ফেসবুক লাইভে সব বলে দিচ্ছেন, কেন? যে যেটা পারছে মুখ খুলে বলে দিচ্ছে। আমাদের বিষয়টা একটু গোপনীয় রাখেন। এখন যা দেখছি, অত্যন্ত নোংরামি। এই নোংরামিগুলো বন্ধ করে ভালো পরিবেশ করার চেষ্টা করেন। আমাদের ইজ্জত যাতে বাঁচে, এটুকু রাখার চেষ্টা করেন।’
এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘আগে একদিনে দুই শিফটে ৪-৫টা ছবির কাজ করেছি। সেই দিনগুলোর সঙ্গে এখনকার দিনের অনেক পার্থক্য। তবে সামনে ভালো দিন আসবে। পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, আমাদের আগ্রহও বাড়বে।’
ডিপজল জানান, ‘প্রচণ্ড গরমে কাজ করতে পারছি না। একটু ঠাণ্ডা পরলেই কাজ শুরু করবো। আমার কিছু ছবির কাজ শেষ হয়েছে, এখন সেন্সরে যাবে। আপনাদের ভালোবাসা থাকলে ছবি বানানোর আগ্রহ বাড়বে। সবাই ভালো ছবি বানাচ্ছে। আপনারা সবার ছবি দেখেন। কাজে সাফল্য না পেলে, কাজের মন-মানসিকতা থাকে না। আপনারা আমাদের পাশে থাকেন, আমরাও ভালো ভালো ছবি উপহার দিবো।’
তিনি যোগ করেন, ‘যেহেতু একটা জিনিসই শিখেছি, ফিল্ম। এটা নিয়েই আপনাদের পাশে থাকতে চাই। আগামী পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে সিনেমা হলের কাজ শুরু করবো। পাঁচটি সিনেপ্লেক্স বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছি। কম বাজেটের সিনেমা হলই বানাবো, যাতে সব শ্রেণীর দর্শকরা সিনেমা উপভোগ করতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করবো।’
নিজের শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে ডিপজল বলেন, ‘বাম চোখে একটু কম দেখি। তিন মাস পর পর শারীরিক চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুর যেতে হয়। এবার চার মাস হয়ে গেলো, যেতে পারছি না। আগামী মাসের ১৫ তারিখে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। হাতের কাজগুলো শেষ করেই যাবো, ইনশাআল্লাহ।’