চাল ও আটার বাজারে অস্থিরতা চলছেই। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে ৪ টাকা। আর সপ্তাহের ব্যবধানে আটা-ময়দার দাম বেড়েছে অন্তত ৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তৃণমূলে অভিযান না চালালে ভোক্তা পর্যায়ে সুফল মিলবে না। আর দোকানিরা বলছেন, মিল গেটেই বাড়ানো হয়েছে দাম।
আমদানি উন্মুক্ত করে দেয়ার পরও স্বস্তি নেই চালের বাজারে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশে, টিসিবির পরিসংখ্যান বলছে, মাসের ব্যবধানে সরু চালের দাম বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ, মাঝারিতে সাড়ে ১০ শতাংশ এবং মোটা চালে সাড়ে ১৫ শতাংশ। চালের খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন সীমিত আয়ের মানুষ।
মানভেদে বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৭৪ থেকে ৭৫ টাকা। যা দুই সপ্তাহ আগেও বিক্রি হতো ৬৭-৬৮ টাকা। ২৮ চাল ৫৯ থেকে ৬০ টাকা আর নাজিরশাইল ৮২ থেকে ৯০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, বাড়তি পরিবহন খরচের প্রভাব পড়েছে মোকামে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে মিল পর্যায়ে তদারকি প্রয়োজন।
আটা-ময়দার দোকানেও স্বস্তি নেই। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে অন্তত ৫ টাকা। আমদানির সুফল মিলছে না মোকামে। টিসিবি বলছে, মাসের ব্যবধানে আটার দাম বেড়েছে সাড়ে ১৭ শতাংশ। আর ময়দার দাম বেড়েছে ৮ শতাংশ।