নানা কারণে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বকই একমাত্র যা আমাদের শরীরের বাহ্যিক অংশে থাকে। এ কারণে ত্বকেই ধুলা, ধোঁয়া, জীবাণুর প্রভাব পড়ে সবচেয়ে বেশি। এজন্য সুস্থতার জন্য় ত্বকের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হরমোনের বিভিন্ন পরিবর্তন হয়। পাশাপাশি সেই সময় ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ারও একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু তার আগেও অনেকের বয়সের ছাপ পড়ে। সেক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপন পদ্ধতির দিকে বিশেষ নজর দিলে অসময়ে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া প্রতিরোধ করা যায়।
ত্বকে অসময়ে বয়সের ছাপ পড়ার কারণ
১. বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার অর্থ, রিঙ্কেল দেখা দেওয়া, ত্বকের টান-টান ভাব নষ্ট হয়ে যাওয়া, ত্বক নিষ্প্রাণ দেখানো কিংবা বয়স অনুযায়ী ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যাওয়া। ত্বকে এই সব সমস্যা দেখা দেওয়ার মূল কারণই হল ত্বকে সরাসরি প্রচুর পরিমাণে সূর্যের তাপ লাগা। অত্যধিক মাত্রায় সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকে লাগলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
২. অত্যধিক ধূমপানের কারণেও ত্বকে অসময়ে বয়সের ছাপ পড়ে যায়। ত্বক সুন্দর ও সুস্থ রাখতে ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
৩. ত্বক সুস্থ আর সুন্দর রাখতে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে।
৪. ধুলা এবং ধোঁয়াতেও মারাত্মক ক্ষতি হয় ত্বকের। এক্ষেত্রে বাইরে বের হওয়ার সময় ত্বকে সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। পাশাপাশি নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিংয়ের সঙ্গে স্ক্রাবিং করতে হবে।
৫. ধূমপানের মতোই মারাত্মক ক্ষতিকর হল মদ্যপান। ত্বক সুস্থ রাখতেও এটির অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
৬. অত্যধিক মানসিক চপের কারণে ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। এজন্য মানসিক চাপ দূর করতে নিয়তিত মেডিটেশন করতে পারেন। তা না হলে বিশেষজ্ঞরও পরামর্শ নিতে পারেন।
৭. অপর্যাপ্ত ঘুমও ত্বকের ক্ষতির মূল কারণ। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের সারাদিনে অন্তত ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।
৮. অনেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন না। কেউ আবার সারাদিনে কোনো ব্যয়ামও করেন না। এতে শরীরের পাশাপাশি ত্বকের ক্ষতি করে। ত্বকের সজীবতা ধরে রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান ও নিয়মিত শরীরচর্চা করা জরুরি।