তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা সদরের শশীগঞ্জ স্লুইজ ঘাটে তিন বছরের অধিক সময় ধরে ভিড়ছে কোনো ঢাকাগামী লঞ্চ। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উপজেলার প্রায় ১লক্ষ মানুষসহ ব্যাবসায়ীদের। ওই ঘাটে লঞ্চ না ভিড়ায় যাত্রীদের পার্শ্ববর্তী উপজেলা লালমোহন ও বোরহানউদ্দিন গিয়ে অনেকটা পথ ঘুরে চরম দুর্ভোগ নিয়ে লঞ্চে উঠতে হচ্ছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত যাত্রী ও ব্যবসায়ীসহ এলাকার মানুষকে সীমাহীন কষ্ট উপেক্ষা করে গন্তব্যে যেতে হয়। বারবার শশীগঞ্জ ঘাটে লঞ্চ ঘাট করার জন্য এলাকাবাসী দাবি জানিয়ে এলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি তিন বছরেও।
জানা গেছে, তজুমদ্দিন উপজেলার এক লক্ষ মানুষ এবং সকল ব্যবসায়ীদের মালামাল আনা নেওয়া এবং সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবীদের ঢাকা যাতায়াতের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে এই শশীগঞ্জ ঘাট। তবে এই ঘাটে তিন বছর আগে লঞ্চ ভিড়লেও মাঝখানে পল্টুন থেকে সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় জোয়ারের পানিতে, এখন পন্টুন ও সংযোগ ব্রিজ নির্মাণ হলেও ঘাট করছে না কোনো লঞ্চ । এতে একদিকে যেমন অতিরিক্ত সময় ব্যয় হচ্ছে অন্যদিকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
ভুক্তভোগী সাদির হোসেন রাহিম ও মোঃ সোহাগ বলেন, তিনবছর আগে লঞ্চঘাট করলেও পরবর্তীতে নদীর ভাঙ্গনে পন্টুন ও যাতায়াতের রাস্তা ছিল না তাই লঞ্চ ঘাট দেয়নি, আমাদের বহু পথ ঘুরে লঞ্চে যেতে হয়। এতে অতিরিক্ত ভাড়া এবং সময় দুটোই নষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ব্যবসায়ী মোঃ খোকন মাহাজন ও মৎস্য আড়ৎদার মোঃ হাসেম মাহাজন বলেন, আগে লঞ্চ ভিড়তো তখন আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি, কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে লঞ্চ ভিড়ে না। সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
শশীগঞ্জ সুইচ ঘাট ইজারাদার মোঃ সবুজ তালুকদার বলেন, লঞ্চ ঘাটের বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে। খুব শিগগিরই এখানে লঞ্চ ঘাট করানো হবে।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিটি এর সহকারী পরিচালক মোঃ সহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘাটটির ব্যাপারে আমরা অবহিত আছি। এখানে নাব্য সংকট ড্রেজিং করানো জরুরী, শিগগিরই লঞ্চ ঘাট করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।