টি-টোয়েন্টিতে যার ব্যাটিংয়ের ধরণ নিয়ে অনেক প্রশ্ন, পরিস্থিতির বিপরীতে ডট বলের চাপ বাড়িয়ে যিনি বারবার হয়েছেন সমালোচিত। সেই নাঈম শেখ আরেকটি পরীক্ষার আগে পাশে পাচ্ছেন নতুন টেকনিক্যাল পরামর্শক শ্রীধরন শ্রীরামকে। ভারতীয় এই কোচের মনে হচ্ছে, নাঈম আসলে সহজাত স্ট্রোক প্লেয়ার। তিনি প্রথম বল থেকেই মারতে পারবেন।
বাংলাদেশের হয়ে এখনো পর্যন্ত ৩৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন বাঁহাতি নাঈম। তাতে ৮০৯ রান করেছেন স্রেফ ১০৩.৭১ স্ট্রাইক রেটে। তার ইনিংসগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় দেড়শো ছাড়ানো স্ট্রাইকরেটে খেলেছেন কেবল একবার। ২০টি ইনিংসে তার স্ট্রাইকরেট ছিল একশোর নিচে! আরও ১৩ ইনিংসে স্ট্রাইকরেট একশো ছাড়ালেও তা ১২০ পার হয়নি।
সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।
ঘরের মাঠে আফগানিস্তান সিরিজের পর দল থেকে বাদ পড়ে। বাদ পড়েও কিছুই করতে পারেননি। এমনকি ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির আসর বিপিএলের একাদশেও জায়গা হারিয়েছিলেন। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে কোন কিছু না করেই তিনি ফিরেছেন এশিয়া কাপের দলে।
মঙ্গলবার এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ওপেন করতে নামতে পারেন নাঈমই। শ্রীরাম সেই আভাস দিয়ে এই ব্যাটারের কাছ থেকে প্রত্যাশাও জানিয়ে দিলেন, ‘নাঈম শেখ সহজাত স্ট্রোক প্লেয়ার। তার কাছ থেকে আমরা কী চাই সেই বার্তাটা একদম পরিষ্কার। আমি নিশ্চিত সে তার সহজাত খেলা খেলবে যেটা হচ্ছে বল দেখবে এবং মারবে। আমরা সংখ্যা নিয়ে খুব একটা উদ্বিগ্ন নই। আমরা পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে বলব তাকে। কন্ডিশন পর্যবেক্ষণ করতে হবে যত দ্রুত সম্ভব। সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজের ভূমিকা বুঝতে হবে তার।’
এশিয়া কাপের দলে শুরুতে ছিলেন না নাঈম। ওপেনার হিসেবে বিজয়ের পাশাপাশি ছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। পরে কিপার ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান ছিটকে যাওয়ায় দলে নেওয়া হয় নাঈম। দলে ফিরতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ‘এ’ দলের হয়ে একটি সেঞ্চুরি ভূমিকা রেখেছে। তবে সেঞ্চুরিটি নাঈম করেছিলেন ৫০ ওভারের ক্রিকেটে।