রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকলে শুধু হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে না, সেই সঙ্গে বাড়ে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কাও। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করলে ব্রেনের অন্দরে টক্সিক বা বিষাক্ত উপাদানের পরিমাণ বাড়তে থাকে। যার প্রভাবে একের পর এক ব্রেন সেলের মৃত্যু ঘটে। অ্যালঝাইমার্স বা স্মৃতি লোপের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। নিচের খাবারগুলো খেলে অল্প দিনেই কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করবে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন মডার্ন হারবাল গ্রুপের হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক ডা. আলমগীর মতি।
বাদাম : কোলেস্টেরল কমাতে আখরোট এবং কাজু বাদাম দারুন কাজে আসে। এই দুটি বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। সকলেরই জানা হয়ে গেছে যে ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। বেশি মাত্রায় বাদাম আবার খাবেন না যেন! তাতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
মাছ : নিয়মিত মাছ খাওয়া শুরু করলে শরীরে উপকারি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
ওটস : খারাপ কোলস্টেরলের মাত্রা কমাতে ওটসের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। এই খাবারটির অন্দরে থাকা ফাইবার একদিকে যেমন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, অন্যদিকে উপকারি কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে। শরীরের কোনো ক্ষতি হওয়ার পরিবর্তে দেহের নানা উপকার হতে থাকে।
ধনে বীজ : কোলেস্টেরল কমাতে এটির কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে। এক গ্লাস পানিতে এক চামচ ধনে বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে পানি একটু গরম করে নিতে হবে। তারপর পান করতে হবে। দিনে দুবার করে এই পানি খেলে দেখবেন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করেছে।
আমলা : এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ আমলা পাউডার মিশিয়ে প্রতিদিন খালি পেটে পান করা শুরু করুন। কয়েক সপ্তাহ এই ঘরোয়া টোটকাকে কাজে লাগালেই দেখবেন কোলেস্টেরল একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
কমলা লেবুর রস : এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি এবং ফ্লেবোনয়েড, যা বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার : এক গ্লাস পানিতে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে ফেলুন। দিনে দুবার এই পানীয়টি খেলে দেখবেন অল্প সময়ের মধ্যেই কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করবে।
সয়াবিন : প্রতিদিন ২৫ গ্রাম করে সয়া প্রোটিন খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রায় ৫-৬ শতাংশ হারে কমতে শুরু করে। এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা যত কমে, তত হার্টের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
বিনস : ফাইবার সমৃদ্ধ এই প্রাকৃতিক উপাদানটিকে যদি রোজের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন, তাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার কোনো আশঙ্কাই থাকে না।
মধু ও পেঁয়াজের রস : এক চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে একবার করে এই মিশ্রণ খান। টানা কয়েক মাস খেলেই দেখবেন রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করেছে।