তাইওয়ানের কাছে আনুমানিক ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার ৪৩১ কোটি ১৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। এজন্য কংগ্রেসের অনুমতি চাওয়ার পরিকল্পনা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আজ মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
আল জাজিরা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের এ সংক্রান্ত প্যাকেজটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সম্ভাব্য তালিকায় ৩৫৫ মিলিয়ন ডলারের ৬০টি এজিএম-৮৪এল হারপুন ব্লক ২ ক্ষেপণাস্ত্র, ৮৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারের ১০০টি এআইএম-৯এক্স ব্লক ২ সাইডউইন্ডার ট্যাকটিক্যাল এয়ার টু এয়ার মিসাইল এবং ৬৫৫ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারের একটি নজরদারি রাডার অন্তর্ভুক্ত করা রয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত তিন জন ব্যক্তি এ তথ্য জানিয়েছেন।
advertisement
যদিও এ খবর সামনে আসার দুই দিন আগে তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন নৌবাহিনীর তৎপরতা নজরদারিতে রাখা হচ্ছে বলে জানায় চীন। গত রোববার চীনের সামরিক বাহিনী ওই ঘোষণা দেয়। চীনের সামরিক বাহিনী বলছে, তারা তাইওয়ান প্রণালীতে উচ্চ সতর্কতা বজায় রেখেছে। যেকোনো উসকানি পরাস্ত করতে প্রস্তুত রয়েছে বেইজিং।
চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই গত রোববার তাইওয়ান প্রণালীর আন্তর্জাতিক জলসীমায় যাত্রা করে দুটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরের পর প্রথমবারের মতো অঞ্চলটিতে যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর কথা স্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিটাম এবং ইউএসএস চ্যান্সেলরসভিল রুটিন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক আইন মেনে তাইওয়ান প্রণালীর আন্তর্জাতিক জলসীমায় প্রবেশ করেছে। প্রণালী দিয়ে জাহাজের ট্রানজিট মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির বহিঃপ্রকাশ।
অপরদিকে ইরানের সম্প্রচারমাধ্যম পার্স টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন সরকার বলছে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে যে সব অস্ত্র বিক্রি করছে তার মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে এক চীন নীতির লঙ্ঘন করা হচ্ছে। মার্কিন অস্ত্র বিক্রির নতুন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বেইজিং তীব্র ভাষায় সমালোচনাও করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রকে জরুরি ভিত্তিতে বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি এমন সব কার্যক্রমও বন্ধ করতে হবে যার কারণে তাইওয়ান প্রণালীর আশপাশে সামরিক উত্তেজনা বেড়ে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যাই করুক চীন তার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে দৃঢ়তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।