হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ বাসায় ফিরছেন। বুধবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে নিজ বাসায় ফেরার কথা রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিকেলে ম্যাডামকে বাসায় নিয়ে আসা হবে।
গত ২৮ আগস্ট খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করানো পর বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে কিছু পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। আর কিছু পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি। সেগুলো পাওয়ার পর মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা পর্যালোচনা করে তার হার্টে রিং বসানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
যদিও খালেদা জিয়ার হার্টে এখন দুটি ব্লক ধরা পড়েছে, তবু শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় আপাতত একটিতে রিং বসানোর পরিকল্পনা আছে চিকিৎসকদের।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে কারাগারে যেতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজা হয়।
করোনা মহামারি শুরুর পর খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে সাড়া দিয়ে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। শর্ত দেওয়া হয়, তাকে দেশেই থাকতে হবে। এরপর কয়েকবার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
কারাগার থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা ফিরোজায় ওঠেন। এখনো তিনি সেখানেই থাকছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। সে সময় এবং পরবর্তীতে অন্য অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়াকে কয়েক দফায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
৭৭ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীতে ব্লক, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
গত বছর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান চিকিৎসকরা।
উন্নত চিকিৎসার দাবি করে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কয়েক দফা আবেদন করেন তার ভাই শামীম এস্কান্দার। কিন্তু সাময়িক মুক্তির শর্তে এ সুযোগ নেই উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করেছে সরকার।