কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী চাঞ্চল্যকর জিয়া উদ্দিন ফয়সাল হত্যা মামলায় ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের পূর্ব মাছুয়াখালী গ্রামের নুরুচ্ছফার ছেলে রেজাউল করিম প্রকাশ বুইল্ল্যানির ছেলে (২০), মৃত আমান উল্লাহ’র ছেলে নুরুল হক (২২), মৃত অছিউর রহমানের ছেলে রমজান আলী (২৪) এবং মো. ইসহাকের ছেলে রুবেল (২০)।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- একই এলাকার নুরুল আবছারের ছেলপ শাহীন উদ্দিন (১৯) এবং দুদু মিয়ার ছেলে মনি আলম (১৯)। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণাকালে আসামিরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের পূর্ব মাছুয়াখালী গ্রামের মো. নুরুল আনোয়ারের ছেলে কক্সবাজার ইন্টান্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র জিয়া উদ্দিন তার এলাকার মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ ও বিক্রিতে বাঁধা দিতেন।
এতে মাদক কারবারিরা ক্ষুব্ধ হয়ে ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে পিএমখালী ইউনিয়নের পূর্ব মাছুয়াখালী জামে মসজিদের উত্তর পাশে সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীরা জিয়া উদ্দিন ফয়সালের ওপর সশস্ত্র হামলা করে। এ হামলায় জিয়া উদ্দিন ফয়সাল গুরতর আহত হলে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসক জিয়া উদ্দিন ফয়সালকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় জিয়া উদ্দিন ফয়সালের পিতা মো. নুরুল আনোয়ার বাদী হয়ে ফৌজদারী দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় ৯ জনকে আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলা তদন্ত করে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আদালত পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুসারে বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
পিপি ফরিদুল আলম বলেন, রাষ্ট্র পক্ষ মামলাটির সাক্ষী, আলামত প্রদর্শনসহ বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু আদালতে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে রায় ঘোষণা করতে পেরেছেন। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও নিহতের পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করেন।