আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গত সাত দশক থেকে বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা জনগণের পাশে রয়েছে- কাজেই বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আওয়ামী লীগ ভীত নয়।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকালে তার বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
‘সরকার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করছে’- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার কেন নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে? সরকার চায় জনগণের স্বস্তি ও স্থিতিশীলতা। প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই দেশে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও মানুষকে শান্তি ও স্বস্তি দেয়নি, এখনও দিচ্ছে না উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির দুঃশাসনের ভয়াবহতা এখনও দেশ ও জাতি ভুলে যায়নি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আবারও দেশে নৈরাজ্য তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তাদের কথিত আন্দোলনে জনসমর্থন না থাকায়, তারা সন্ত্রাস নির্ভর হয়ে পড়েছে।
জনগণের সম্পদ এবং স্বস্তি নিশ্চিতে বিএনপিকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের পথ পরিহারের আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছে। এসব স্বপ্ন দেখে লাভ নেই।
কথা দিয়ে কথা না রাখা বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র এমন দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যা বলেন, করেন তার বিপরীত। নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ভোটধিকার নিয়ে কথা বলে— অথচ এর সবকটি তাদের হাতে ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। বিএনপির দ্বিচারিতা দেশের জনগণের কাছে স্পষ্ট।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও জনমুখী রাজনীতি বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। তাই বিএনপি অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতা দখলের পায়তারা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি কাকে বলে তা অতীতে প্রমাণ করতে পারেনি, আমরা রাজনৈতিকভাবে সব কর্মসূচি মোকাবিলা করব। কর্মসূচিতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে তা জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকার কঠোরভাবে দমন করবে।
তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন মানে সহিংসতা, জনগণের সম্পদে আগুন দেওয়া, তাই তাদের কোনো অপকর্ম আওয়ামী লীগ বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না।
জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্নয় করা প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা এতদিন অন্ধ সমালোচনা করেছে, এখন তাদের মুখ বন্ধ কেন? বিশ্ব পরিস্থিতি চাপে যখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয় তখনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে পরিস্কারভাবে বলেছিলেন, এই মূল্য বৃদ্ধি সাময়িক, সময় হলে মূল্য বৃদ্ধি সমন্বয় করা হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বোঝেন বলেই তেলের দাম কমিয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন।