এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচে বিরাট কোহলি স্বভাবসুলভ ফর্মে ছিলেন না, একথা সবাই মানবেন। সেই ফর্মে কোহলিকে ২০১৯ সালের পরই খুব একটা দেখা যায়নি।
তবুও পাকিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচে বিরাটের ৩৫ রানে ইনিংসটা একেবারে ফেলে দেওয়ার মতো নয়। শুরুতেই ওপেনার লোকেশ রাহুলকে হারিয়ে হোচট খাওয়া ভারত বিরাট-রোহিতের ধীর ব্যাটে ভর করেই ম্যাচে থিতু হয়েছিল। তাই বিরাটকে এখনও পাশে সরিয়ে রাখার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি ভারত দলে।
কোহলি ১০০ টি-টোয়েন্টি খেলে ৩৩৪৩ রান করেছেন, তার গড় ৪৯.৮৯। এখনও ঈর্ষণীয় তার স্ট্রাইকরেট, ১৩৭+!
যদিও ভারত দলে বিরাট কোহলি অপহার্য নাকি অপরিহার্য নয়-সে নিয়ে বর্তমানে তর্ক-বিতর্ক চলছে ক্রিকেট বিশ্বে।
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার মনে করেন কোহলি ভারত দলে এখন আর অপরিহার্য নয়। তিনি বলেন, ‘পুরো বিষয়টিকে দুইভাবে দেখা যায়। কোহলি এরই মধ্যে ভারতের নতুন কৌশল রপ্ত করার চেষ্টা করছে। তবে সে কৌশলের সঙ্গে কোহলির সহজাত খেলার একটু পার্থক্য আছে। কোহলি সাধারণত ইনিংসের শুরুতে একটু সময় নেন, নতুন কৌশল ওকে সে সুযোগ দেবে না। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, কোহলির হারাবার কিছু নেই, তাই সে দলের পরিকল্পনা অনুযায়ীই খেলছে। তবে এভাবে খেলে হংকংয়ের বিপক্ষে ও পরের রাউন্ডে পাকিস্তানের মুখোমুখি হলে সে কত রান করতে পারবে?’
তবে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার স্কট স্টাইরিস মোটেও এমনটা মনে করছেন না। তার দাবি, ভারত দলে এখনো কোহলির বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না, কোহলির জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে! হুদা–কিষানের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা সামনের বছরগুলোতে দলে আসতে পারবে।’
তবে সবশেষে কথা ওই প্রকৃতি তার কোন জায়গাই খালি রাখে না, কোথাও কেউ অপরিহার্য নয়। দিন শেষে ক্রিকেটেও তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সোনার তরী কবিতার কথাই খাটে, ‘যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী’। মানে প্রয়োজন ফুরালে আর কাউকে নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করে না সোনার তরী।