ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে জিটুজি পর্যায়ে ৩ লাখ ৩০ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বুধবার দুপুরে ভার্চুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে এ বিষয়ে দুটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক বলেন, আজকের ক্রয় কমিটিতে টেবিলে উত্থাপিত প্রস্তাবসহ মোট ১৫টি প্রস্তাব উপস্থাপিত হলে সবগুলো প্রস্তাবই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, টেবিলে উত্থাপিত প্রস্তাবের মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় ভারত থেকে জিটুজি পর্যায়ে এক লাখ টন ননবাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪১৭ কোটি ৫ লাখ টাকা। ৭০ হাজার টন লটের চাল আসবে পোর্টের মাধ্যমে। ফলে প্রতি কেজি চালের দাম পড়বে ৪২.১৩২ টাকা। ৩০ হাজার টন লটের ল্যান্ডের মাধ্যমে আসবে। এতে প্রতি কেজি ৪০.৭০ টাকা। আর প্রতিটনের দাম পড়বে ৪৪৩.৫০ মার্কিন ডলার।
অতিরিক্ত সচিব আরও জানান, ভিয়েতনাম থেকে জিটুজি পর্যায়ে ২ লাখ টন থাই ননবাসমতি চাল এবং ভারত থেকে ৩০ হাজার টন আতপ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুইটা মিলে একত্রে ২ লাখ ৩০ হাজার টন। ননবাসসতি চাল প্রতি কেজি ক্রয় মূল্য ৪৯.৪৯৫ টাকা এবং আতপ চাল ৪৬. ৯৩ টাকা। ননবাসমতি প্রতি টন ৫২১ মার্কিন ডলার। ৩০ হাজার টন আতপ চাল প্রতিটন ৪৯৪ মার্কিন ডলার। মোট এক কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। সর্বমোট ২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল আমদানিতে খরচ হবে ১১ কোটি ৯০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ১ হাজার ১৩০ কোটি ৬৯।