প্রথমে ব্যাটাররা ডোবালো, পরের দিকে নাজিবুল্লাহকে আউট করতে পারলেন না বোলাররা, ফলে আফগানিস্তানের সঙ্গে হারতে হলো বাংলাদেশকে।
সাকিব আল হাসান ও শ্রীধরণ শ্রীরাম জুটি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সফল হলো না। শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পর বাংলাদেশকেও সহজেই হারালো আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের জয়যাত্রা অব্যাহত। এখন তারা টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ভালো দল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিবের এটা ছিল একশতম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এই ম্যাচে ভালো বল করেছেন সাকিব। কিন্তু ব্যাট হাতে চূড়ান্ত ব্যর্থ। ঘাসহীন লো বাউন্সের উইকেটে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন সাকিব। সেই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের কোনো লাভ হয়নি।
ব্যাটিং ব্যর্থতা
বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতেই বিপর্যয়। দুই ওপেনার নইম ও আনামুল শুরুতেই আউট হয়ে যান। সাকিব করলেন ১১ রান। এই তিনজনই আফগান স্পিনার মুজিবের শিকার। মুশফিকুর ও আফিফ হোসেনকে ফেরান রশিদ খান। মাহমুদুল্লাহ ও মোসাদ্দেকের জুটিতে ৩৬ রান ওঠে। ৩০ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। কিন্তু বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১২৭ রান তোলে। মুজিবের অফ স্পিন ও রশিদের লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। দুই বোলারই তিনটি করে উইকেট নেন।
নাজিবুল্লাহ ঝড়
আফগানিস্তানের একসময় স্কোর ছিল তিন উইকেটে ৬২। বাংলাদেশের বোলিং তখন বেশ ভালো হচ্ছে। সাকিব চার ওভারে ১৩ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন। কিন্তু এই চাপটা পরের দিকে রাখতে পারলেন না বাংলাদেশের বোলাররা। নাজিবুল্লাহ ১৭ বলে ৪৩ রান করলেন। সেই ঝড়ে উড়ে গেল বাংলাদেশ। ইব্রাহিমও ৪২ রান করেছেন। এর মধ্যে নাজিবুল্লাহ ছিলেন সবচেয়ে আক্রমণাত্মক। ফলে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলতে আফগানিস্তানের কোনো অসুবিধা হয়নি।
সাকিব যা বললেন
ম্যাচের পর সাকিব বলেন, ”নাজিবুল্লাহ বিপজ্জনক ব্যাটার সেটা আমরা জানতাম। ও ম্যাচটা আমাদের কাছ থেকে বের করে নিয়ে গেল। আমরা উইকেট দেখে ভেবেছিলাম, ম্যাচ আমাদের হাতে। কিন্তু নাজিবুল্লাহকে পুরো কৃতিত্ব দিচ্ছি, আফগানিস্তানের জয়ের জন্য।”
একই সঙ্গে নিজের টিমের ব্যাটিং ব্যর্থতার কথাও বলেছেন সাকিব। তিনি বলেছেন, ”প্রথম সাত-আট ওভারে চার উইকেট হারালে জয় সবসময় কঠিন হয়ে যায়। উইকেট যা ছিল, তাতে আমাদের আরো ১০-১৫ রান প্রয়োজন ছিল। আফগানিস্তানের ইনিংসের ১৫ ওভার পর্যন্ত আমরা ম্যাচে ছিলাম। তারপর ওরা ম্যাচ বের করে নিয়ে যায়।”
আফগান অধিনায়কের বক্তব্য
আফগানিস্তানের অধিনায়ক নবি বলেছেন, ”রশিদ ও মুজিব বিশ্বমানের স্পিনার। ওদের জন্য প্রথম দশ ওভারের মধ্যে আমাদের হাতে ম্যাচের রাশ চলে আসে। আমাদের লক্ষ্য খুব বড় ছিল না। আমাদের কাছে চালিয়ে খেলার মতো ব্যাটার ছিল। আমরা উইকেট হাতে রাখতে চেয়েছিলাম। জানতাম যে উইকেট হাতে থাকলে জেতা সহজ হবে।”