কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
‘হয়ে ওঠো আগামীর গ্রান্ডমাস্টার’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে শুরু হওয়া তিনদিন ব্যাপী স্কুল ভিত্তিক দাবা প্রতিযোগীতার ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। কুড়িগ্রাম স্টেডিয়াম হল রুমে ‘মার্কস এ্যাক্টিভ স্কুল চেজ চ্যাম্প’ নামে এ খেলার আয়োজন করে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় এবং কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের সহযোগীতায় জেলার ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৪জন শিক্ষার্থী সুইসলীগ পদ্ধতিতে এ প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সমাপনী পর্বে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উত্তম কুমার রায়ের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাঈদ হাসান লোবান, অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু প্রমুখ।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাঈদ হাসান লোবান জানান, ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৪জন খেলোয়ার অংশ গ্রহন করে। সুইস লীগ পদ্ধতিতে এ খেলায় দলগত ভাবে চ্যাম্পিয়ন হয় কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। দ্বিতীয় হয় রাজারহাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে কুড়িগ্রাম কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ।
বোর্ডের সেরা খেলোয়ার নির্বাচিত হয়-কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তাহমিদ জারিফ জয়, খলিলগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের সাদাত রহমান, রাজারহাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ফারাবী, কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের রাফিয়া, পুলিশ লাইন্স স্কুলের মাহিন ও কুড়িগ্রাম কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের রাউফুর রহমান। উদীয়মান ক্ষদে খেলোয়ার নির্বাচিত হয় খলিলগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের নিশান রহমান, কুড়িগ্রাম ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুবাশ্বির খান এবং কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোছাঃ আতকিয়া মাসুদা।
পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সভাপতি। দাবা খেলা মেধা ও মননের বিকাশ ঘটাতে সহায়ক ভূমিকা রাখার পাশাপাশি মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়তে স্কুল ভিত্তিক দাবা প্রতিযোগীতা বিপ্লব ঘটাবে । মেধার বিকাশ ঘটছে তৈরী হচ্ছে আগামীর গ্রান্ডমাস্টার।
চ্যাম্পিয়ন টিমের দল নেতা তাহমিদ জারিফ জয় বলেন, দাবা খেলা শুরুর পর আমার মোবাইলের আসক্তি কমেছে অনেকাংশে। এখন ধীরস্থির হয়ে কাজ করার, পড়াশুনা করবার, চিন্তা করবার, যেকোন বিষয়ে পরিকল্পনা করার ব্যাপারে ধৈয্য, আগ্রহ এবং এনার্জি পাচ্ছি। যা আমাকে বদলে দিচ্ছে।