পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেকের উপর আগ্রাসী হয়ে বাকবিতন্ডাকারী রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক লতা সমাদ্দার বাংলাদেশ পুলিশের মর্যাদা ও সাম্মান ক্ষুন্নকারী। তার সাজানো টিপ কান্ডটি ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার এক ভ্রষ্ট প্রচেষ্টা। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপরাধে সে অপরাধী। তার এহেন উস্কানিমূলক নাটকের বিচার না করার কারন কি তা আজ জনমনে প্রশ্নের উদ্রেগ ঘটিয়েছে।
১ সেপ্টেম্বর বুধবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের এক জরুরী বৈঠকে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলাম উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্ব-পরিবারে অবস্থান কর্মসূচীতে দাঁড়িয়েছেন বরখাস্ত পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেক ও তার পরিবার। যা পুরো জাতির জন্য বেদনাদায়ক। টিপ কান্ড অসত্য ও বানোয়াট হওয়ায় ডিএমপি পুলিশের তৎকালীন কর্মকর্তা বলেছিলেন, “টিপকান্ডের বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত না হলেও সেই নারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে না পুলিশ”। বাকবিতন্ডার বিষয়টিকে টিপকান্ডে পরিণত করে গুজব ছড়ানোয় বাংলাদেশ পুলিশের মানমর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা।
তারা বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ এদেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ। পুলিশের মানমর্যাদা ক্ষুন্ন করার অধিকার কারও নাই। অথচ পুলিশের মানমর্যাদা ক্ষুন্ন করেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হল না বাংলাদেশ সরকার কিংবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে। অথচ একই কান্ডে অপপ্রচারের শিকার লাঞ্চিত পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হল। সরকার সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতার কারনে আজ পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেক স্ব-পরিবারে অবস্থান কর্মসূচীতে দাড়িয়েছে। কালক্ষেপণ না করে মানবিক বিবেচনায় হলেও লাঞ্চিত, অপমানিত, হেনস্তার শিকার সৎ পুলিশ সদস্যকে সম্মানের সাথে চাকুরি ফিরিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তার পক্ষে প্রয়োজনে রাজপথে অবস্থান করতে বাধ্য হবে।