গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে বাংলাদেশের জার্সিতে এই ফরম্যাটে প্রায় ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। দুবাইয়ে বিশ্বকাপের পর চলতি বছরের মার্চে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন।
এরপর পাঁচ মাস টি-টোয়েন্টি দলের বাইরে ছিলেন। তবে এশিয়া কাপের আগে লিটন দাস এবং নুরুল হাসান সোহান আচমকা চোটে পড়লে আবার সুযোগ মেলে মুশফিকের। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও ব্যাটসম্যান মুশফিকের পাশাপাশি উইকেট রক্ষক হিসেবে ফেরান তাকে।
তবে পাঁচ মাস পর এশিয়া কাপের মঞ্চে ফিরেও নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন মুশফিক। দুই ম্যাচে করতে পেরেছেন মোটে ৫ রান। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কুশল মেন্ডিসের ক্যাচ মিস করে বসেন। এছাড়াও আরেকটি ক্যাচ ধরলেও রিভিউ নিতে ভুল করেন।
যা নিয়ে ম্যাচশেষে প্রচুর বিতর্কেরও সৃষ্টি হয়। এশিয়া কাপ শেষে দেশে ফিরে অবশ্য আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে সব বিতর্ক মাটিচাপা দিলেন মুশফিক। ক্রিকেটের এই ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে বাংলাদেশের জার্সিতে আর দেখা যাবে না এই ক্রিকেটারকে।
নিজের অবসরের ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে মুশফিক লেখেন,
‘সবাইকে সালাম এবং শুভেচ্ছা।
দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারের যাত্রায় আমি আপনাদের সবাইকে পাশে পেয়েছি। ভাল এবং খারাপ দুই সময়েই আপনাদের অকুন্ঠ সমর্থন আমার প্রেরনা।
টি টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার থেকে আজ আমি অবসর নিচ্ছি। তবে, বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট এবং ওয়ানডে খেলা চালিয়ে যাবো। আশা করছি এই দুই ফরম্যাটে আমি আরো কিছু নিয়ে আসতে পারবো দেশের জন্য।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) সহ অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে আমি আমার খেলা চালিয়ে যাবো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
আলহামদুলিল্লাহ। সবার নিকট কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।’
২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টাইগারদের জার্সিতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় মুশফিকের। এরপর ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে ১০২ ম্যাচ খেলে ১৫০০ রান করে থামলেন মুশফিক। এই সময়ে এই ফরম্যাটে ৭২টি ডিসমিসালও করেন মুশফিক