কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালিয়াকৈর ভুল চিকিৎসায় চতুর্থ শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর ওই হাসপাতালটি ঘেরাও রেখে বিক্ষোভ করেছেন নিহতের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী ও স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশ দিয়ে বিক্ষুব্দ জনতাকে তাড়িয়ে দেন।
নিহত হলো, কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানার পাটোয়ারী পাড়ার গ্রামের আশরাফুল ইসলামের মেয়ে আরিফা আক্তার (১৩)। সে উপজেলার সিনাবহ খন্দকার পাড়া মডেল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আরিফা দীর্ঘদিন ধরে তার বাবা-মায়ের সাথে কালিয়াকৈর উপজেলার সিনাবহ খন্দকার নওশের আলী বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো। ওই স্কুল ছাত্রীর মাথা ও পেট ব্যাথা হলে তাকে উপজেলার সফিপুর তানহা হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে বেশ কিছু পরিক্ষা-নিরিক্ষা শেষে ঔষধ সেবন, ইনজেকশন ও স্যালাইন দেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. হুসেন আমিন দুলন। কি তার অবস্থার অবনতি হলে অতিদ্রুত ইসিজি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ওই স্কুল ছাত্রীর মত্যু হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত অন্যত্র রেফার্ড করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন ওই হাসপাতালটি ঘেরাও করে রাখেন। এসময় বিক্ষুব্দরা ভুল চিকিৎসায় স্কুল ছাত্রীর মত্যুর দাবী করে ওই হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে ওই হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ তাদের নিরাপত্তা কর্মী ও স্থানীয় মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্দ জনতাকে তাড়িয়ে দেন।
নিহত স্কুল ছাত্রীর দুলাভাই হিমেল হাসেন জানান, সামান্য মাথা ব্যাথা নিয়ে আমার শ্যালিকাকে ওই হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালের লোকজন বেশকিছু পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর ঔষধ ও সালাইন পুশ করে। এরপর তারা তার হার্ডের চিকিৎসা দেন চিকিৎসক। ওই হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় তার মত্যু হয়েছে। পর স্থানীয় লোকজন হাসপাতাল ঘেরাও করলে কর্তৃপক্ষ তাদের নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশ দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিক্ষুব্দদের তাড়িয়ে দিয়েছে।
ওই তানহা হেলথ কেয়ার হাসপাতালের ম্যানেজার মোস্তফা হাসান জানান, রোগীটা দুর্বল অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল। এ জন্য সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ঔষধ ও স্যালাইন করা হয়। এক পর্যায় রোগীটি আরো বেশি অসুস্থ হলে তিনি মারা যান।
কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্দ জনতাকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। তবে স্বজনদের লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।