আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, দয়া করে দা-কুড়াল বন্ধ রাখেন। আপনারা খালি হাতে মাঠে আসেন, যুদ্ধ হবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, সমাবেশে-মিছিলে যারা গুলি করছে তারা অবৈধ সরকারের অধীনে চাকরি করছে। এ সরকার বৈধ সরকার নয়। যদি এ সরকার চলে যায়, তাহলে তাদের অবৈধ চাকরিও থাকবে না। এই ভয়ই তাদের আছে। তাই সবাইকে সাবধান করে দিতে চাই। আমাদের নেতাকর্মী-ভাইদেরকে বলব ধৈর্যসহকারে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন।
সোমবার বিকালে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির কর্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় গত শনিবারের সংঘর্ষের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশে থাকে এমন লোকজনের নামেও মামলা হয়েছে। এই সরকার যাকে পাচ্ছে থাকেই মামলা দিচ্ছে। তাদের ভাবটা এরকম যদি মামলা দিয়ে জেলে ভরে দেয়া যায়-তাহলে আগামী দিনে আমাদের (বিএনপির) ভোট দেয়ার লোকই থাকবে না। কথাটা স্পষ্ট বাংলাদেশের প্রতিটি জনগণ আজ আওয়ামী লীগ বিরোধী। নিরপেক্ষ নির্বাচন যখন হবে, তখন সকলেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোট দেবে। তাই আমাদের কর্মীদের আটকিয়ে রেখে কোনো লাভ হবে না।
স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, পাকুন্দিয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ হাজার হাজার গুলি করেছে। মামলার ভয়ে পাকুন্দিয়া এখন জনশূন্য, তবে কিছু কসাইরা সেখানে বসবাস করছে। সেখানে এখন শিশুরাও থাকতে পারছে না মামলার ভয়ে। ওই দিন পাকুন্দিয়া ছাত্রদলের কর্মী শ্রাবণের ওপরে এত গুলি করা হয়েছে যে, তার শরীরের সামনের অংশের এক ইঞ্চি জায়গা বাকি নেই যেখানে গুলি লাগেনি। আমি ভাবতে পারছি না-এ রকম একটি শিশু বাচ্চার ওপরে কিভাবে এতগুলি করে। তার লিভারে গুলি লেগেছে। কিডনিতে গুলি লেগেছে। রানে গুলি লেগেছে। তার মা হাসপাতালের সামনে অসহায় অবস্থায় ঘোরাঘুরি করছে। ডিবি পুলিশ গিয়ে তার মাকে থ্রেট করছে।
মির্জা আব্বাস আরো বলেন, গুলি করে আন্দোলন থামানো যাবে না। এখনও-তো আন্দোলন শুরুই হয়নি। এখনই যদি গুলি শেষ হয়ে যায়-তাহলে সামনের আন্দোলন সামলাবেন কেমনে?
গত শনিবার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপির ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় আহত নেতাকর্মীদের খোঁজ নিতে কিশোরগঞ্জে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামসহ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।