ইভিএম ক্রয় ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ সম্ভাব্য ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নতুন করে কেনা হচ্ছে দুই লাখ মেশিন। নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আলমগীর জানিয়েছেন, প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেড়শ’ আসনেই ইভিএমে ভোট হবে। আর তা না হলে বর্তমান সক্ষমতা অনুযায়ী অন্তত ৭০ থেকে ৮০ আসনে ইভিএমে ভোট হবে।
রাজনৈতিক সমঝোতা হয়নি বরং মারমুখী অবস্থানে বড় দুই দল। ইভিএম প্রশ্নেও লড়াইয়ের প্রধান আকর্ষণ বিএনপি-আওয়ামী লীগের অবস্থান বিপরীত। তবে সংলাপে না আসায় বিএনপির ইভিএম বিরোধী অবস্থান বিবেচনায়ই আনছে না ইসি। নেয়া হচ্ছে ইভিএম কেনার প্রস্তুতি।
গেল বছর দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকায় ইভিএম সরবরাহ করেছিল সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠান বিএমটিএফ। এবার কিছুটা বাড়বে দাম। সেই সাথে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিবহনসহ প্রকল্প ব্যয় প্রায় আট হাজার কোটি টাকা।
প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিব হাসান বলেন, আপনারা যে ব্যয়ের কথা বলেছেন তার মধ্যে ইভিএম প্রকিউরমেন্ট আছে, ওয়ারহাউজ আছে, আমাদের জনবল নিয়োগ আছে। এছাড়াও আমাদের পরবর্তী পাঁচ বছরের যে প্লান আছে সেই প্লান, সেটার সাথে আনুষঙ্গিক আমাদের যানবাহ। আর এটার সাথে অ্যাড হতে পারে মুদ্রাস্ফীতি।
কমিশনের আশা ভোটের আগেই দুই লাখ ইভিএম সরবরাহ করবে বিএমটিএফ। তবে বাস্তবায়ন যেমনই হোক সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার হবে আসছে নির্বাচনে। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আমাদের হাতে যে ইভিএম আছে সেই ইভিএম দিয়ে যতগুলো আসন করা যায় আমরা সেটা করবো। আর আমরা প্রজেক্টের মাধ্যমে যত ইভিএম আনতে পারি সেটা আমরা আনবো। আর যদি ওই প্রজেক্টে ইভিএম না পাই তাহলে আমাদের কাছে যা আছে সেটা দিয়েই হবে।
উল্লেখ্য, ভারতে ইভিএমের বর্তমান দাম প্রায় ৪০ হাজার টাকা। এছাড়া আঙুলের ছাপ যাচাই ও মনিটর ছাড়া ২০০৮ সালে প্রথম ২২ হাজার টাকায় ইভিএম সরবরাহ করেছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।