বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি টাকায় বিভিন্ন সাপের বিষ বিক্রি হতে দেখা যায়। তবে সাপের বিষের চেয়েও দামি বিষ রয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে দামি বিষ হলো কাঁকড়া বিছের বিষ। বিষাক্ত এ প্রাণীর মাত্র এক লিটার বিষের মূল্য কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মূদ্রায় প্রায় ১০০ কোটি টাকা। ইউরোপের বেশকয়েকটি দেশে ওষুধ তৈরিসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হয় কাঁকড়া বিছের এ বিষ। খবর সায়েন্স এবিসির।
মূলত কাঁকড়া বিছের বিষ সংগ্রহ করা খুবই দুষ্কর হওয়ায় এর দাম এত বেশি। একটি কাঁকড়া বিছে থেকে দিনে সর্বোচ্চ ২ মিলিগ্রামের মতো বিষ সংগ্রহ করা সম্ভব। মাত্র এক গ্রাম বিষ সংগ্রহের জন্য দরকার ৪০০টিরও বেশি কাঁকড়া বিছে।
সারা বিশ্বে এর গুটিকয়েক খামার আছে। তুরস্কের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ শানলিউরফায় রয়েছে বিষাক্ত এ প্রাণীর একটি খামার। এই খামারে চাষ করা হয় ২০ হাজারের বেশি কাঁকড়া বিছে। অ্যান্ড্রোক্টনাস তুর্কিয়েন্সিস প্রজাতির বিপুল এ কাঁকড়া বিছে থেকে দিনে মাত্র ২ গ্রাম বিষ পায় খামার মালিক।
খামার মালিক মেটিন অরেনলার বলেন, বর্তমানে খামারে ২০ হাজারের বেশি কাঁকড়া বিছে রয়েছে। খামারেই এর প্রজনন ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা এর বিষ বের করে তা ঠান্ডা করে সংরক্ষণ করি। পরে সে বিষকে পাউডার বানিয়ে ইউরোপে বিক্রি করি।
বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংগ্রহ করা হয় কাঁকড়া বিছের বিষ। কামড় থেকে বাঁচতে সর্বোচ্চ সতর্কতাও নেয়া হয়। এক ফোঁটা বিষের জন্য অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়। বিষ সংগ্রহের এ প্রক্রিয়াকে বলা হয় মিল্কিং বা দোহন।
ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডের মতো দেশগুলো আমদানি করে কাঁকড়া বিছের বিষ। মূলত কসমেটিক্স, পেইনকিলার ও বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক তৈরিতে বিষাক্ত এ বিষ ব্যবহার করা হয়।