নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কেন গেলেন ভারতে? কী আনতে গেলেন? যেসব চুক্তি হল, সেসবের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রীর যেতে হয়? আমেরিকা যান, ভারত যান আর পিকিং যান- কোথাও ঠাঁই হবে না। এখনো সময় আছে, ওসব ছেড়ে জনগণের কাছে আসুন। ক্ষমতা ছেড়ে দিন। তবেই রক্ষা পাবেন।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ‘ভোট ডাকাতি, দখলদারি, গুম, খুন, দুঃশাসন ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগত’র প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, এদেশের ইতিহাস ছাত্রসমাজের ইতিহাস। এ সরকার দেশের ছাত্র রাজনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। গুলি করে মানুষ মারছে। কিন্তু এদেশের ছাত্রসমাজকে ভয় দেখিয়ে কোনদিন দমিয়ে রাখা যায়নি।
সরকারের সমালোচনা করে মান্না বলেন, আজ এই সমাবেশে আসার পথে দুটি বাস আটকে দেওয়া হয়েছে। যতই দমন-পীড়ন করুক না কেন দেশের ছাত্রসমাজ ও জনগণকে আটকে রাখার শক্তি এ সরকারের নেই। রাজপথে যে স্রোত শুরু হয়েছে, সেই স্রোতে এ দখলদার, ফ্যাসিবাদী সরকার ভেসে যাবে।
নাগরিক ছাত্র ঐক্য ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক আব্দুল আলিফের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোমিনুল ইসলাম, মোফাখখারুল ইসলাম নবাব, যুব ঐক্যের সভাপতি সাম্য শাহ, ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।